স্টেশনে বসে আছি ঠায়। কেউ আসবার কথা নয়। ফিরে যাবো কারো কাছে, এই শহরে এমন কেউ নেই আর। কাউকে পাঠানো হবে না ভেবে যে চিঠিখানা লিখেছিলাম, দলা পাকিয়ে ছুড়ে ফেলেছি পরিত্যক্ত এক ডোবাতে। হোটেলের চেয়ে সস্তায় এখানে মিলে যায় বালিকা বারবণিতার ঘর। ভাড়াটে সেই নারীর মধ্যগগণে চুমু খেয়ে উঠে এসেছি এই ভরদুপুরে, চুপিসারে। এর বেশি কিছুই রেখে যাচ্ছি না এই শহরে।
ট্রেন শেষ হুইসেলটা ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটা ধরে। আরও একবার খুঁজে পেতে চেষ্টা করি শরীরের ভাপে ভিজে জবুথবু টিকিটটা। হাত গলিয়ে পড়ে শূন্যে। এদিক ওদিক ভালো করে দেখি—আমি কারো ছায়া, একাকী অপেক্ষমান। আমার অস্পষ্ট অস্তিত্ব চোখে পড়ছে না কারো। স্টেশনের প্রতিটা দেহের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি নিজেকে। সম্ভবত আমাকে রেখেই ফিরে গেছে সে, অন্য কোনো ছায়ার সন্ধানে। অথবা আত্মগোপন করেছে অন্য কোনো শরীরে।
বিমূর্ত আমি মূর্ত হওয়ার সন্ধানে খুঁজে ফিরি শরীর। সাড়ে পাঁচ ফিট, ছিপছিপে গড়ন—একটু এদিক-ওদিক হলেও ক্ষতি নেই, কে কার ছায়া মেপে দেখে! দেবেন নাকি আপনার শরীরটা? শরীর ছাড়া সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে ঘরে ফেরার।
আরো পড়ুন-