ভালোবাসি চলো
চলো ভালোবেসে ফেলি পরস্পরে
পাড়ার লোকে?
তাকালো না হয় আড়চোখে—
ক্ষতি কী!
শানবাধা পুকুরঘাট তো নেই আর
নেই জমিদারি নৌকায় বাদ্য সাজিয়ে আমোদের ভ্রমণ—
সাথে শিল্পের খেলা
এ বুঝি পড়ন্ত বেলা
হলে হোক, ক্ষতি কী!
আবার তো সকাল হবে
আলোয় আলোয় আলোকিত হবে বাগান-ফুল
হলে হোক ভুল;
আমরা হয়তো বাগান পাব না
ক্ষতি কী!
ছাদবাগানে ফুলের ঘ্রাণে তবে রসায়ন কমে যাক।
আমরা তো একটি রাস্তাও পাব
শুধু কি তাই!
ফ্লাইওভারে চুল উড়িয়ে পাব বিন্দাছ হাঁটার সুখ
পৃথিবী তবে নিরাপদ করুক আমাদের পথ চলা।।
চলো,
এর পরেও কি চিন্তিত হওয়া মানায় বলো?
দেরি কেন; ভালোবাসি চলো,
চলো ভালোবাসি পরস্পরে;
জাত-পাতের কথাও তো দেখি ভাবো অবসরে!
ঘরে?
পরে?
কৃষ্ণের ভালোবাসায় কি অধর্মের কল নড়ে?
দ্বারে?
আহা, সোজাসুজি বলো দুয়ারে
না হয় বলো প্রবেশদ্বার
এবং বলো দরজা যার
পারাপার?
তুমিও তো জানো—উনিও যে নিয়েছেন ফরহাদ-ইউসুফের ভার।।
পৃথিবীতে দেখো স্ববিরোধী চরিত্রগুলোর খেলা—
দেখো রক্তের হোলি,
এসো ভালোবেসে পথ চলি;
তবে রক্তের খেলা ফেলি
কে নাড়ে কড়া দুয়ারে হায়!
আমরা না হয় ভালোবেসে দাঁড়াব মৃত্যুর দরজায়।।
কি করেছি আমি
কি করেছি আমি?
আমাকে দেখে মুখ ফেরালো
আকাশে একফালি চাঁদ
দিনের সূর্যও মুখ ফেরালো
অশ্রু যে ভাঙ্গলো বাঁধ!
কি করেছি আমি?
পরিণয় চাওয়াতে বিচ্ছেদ পাতে
কাঁটা যে বিঁধল পায়
মঙ্গল চাওয়াতে অমঙ্গল ঘটল
কলঙ্ক লাগল গায়।
জীবনবীণার করুণ সুরে
জেগে থাকা প্রতিটি নিশি
আমার শোকে শোকাহত আজ
আঁধার রাতের শশী।
কি কারণে যে বিচ্ছেদ চাও
বাক্ বিনিময় বন্ধ করে দাও
তুমিই বলো, তুমি ছাড়া আমার
কী আছে প্রিয় দামি?
নোনা জলে না হোক
ঘৃণা ভরে বলো,
কি করেছি আমি?
অহেতুক প্রস্থান
দৃষ্টি সীমানা পেরিয়ে
অনন্ত অসীম কোন দূরত্বের সেপথ
স্মৃতির পৃষ্ঠাজুড়ে কেবল অঞ্জলি ভরা দুঃখ
তবুও হেঁটে চলা পথ—
যেন মরুর পথে ধু-ধু বালুচর
বিচ্ছেদ যেখানে বিধেছে বিমূর্ত চেতন;
কেন তবে প্রস্থান মৃত্তিকার গন্ধে!