X
রবিবার, ০২ জুন ২০২৪
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
উপন্যাস

বিকল্প অর্থনীতি ও গ্রাম্য কায়কারবার

সাজেদুল ইসলাম
১৮ মে ২০২৪, ১০:৩২আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ১০:৩২

রিংকুর উৎসাহ দেখে দিলীপের বৌ বিষ্ণুর মনে সংশয় সৃষ্টি হলো। স্পষ্টতই সে বুঝতে পারল না যে—তরুণ কারবারি রিংকু আকন আদতে কি চাইছে। সে কি কেবলই বিষ্ণুর প্রেমে মজেছে নাকি সত্যি দিলীপ ও বিষ্ণুর মজুতদারবিরোধী বিপ্লবের গল্পও তাকে স্পর্শ করেছে। প্রেম মানুষকে অন্ধ করে বলে প্রেমের নেশায় মানুষ যেকোনো কিছুকেই মেনে নিতে পারে। যেকোনো বশ্যতা। এমনকি শর্তকেও মানতে চায় প্রেমিক। প্রেম যদি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হত তবে অতি আগ্রহী পক্ষ হয়ত কঠিনতর শর্তকে মেনে নিতেও দ্বিধা করত না। চুক্তি সম্পন্ন হওয়াই তার কাছে যখন মুখ্য তখন শর্ত কোনো বিষয় নয়। রিংকু বিষ্ণুকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলতে চাইছে বলে হেন কিছু নেই যা করছে না—যা বিষ্ণুকে খুশি করতে পারে। আবার এমনও তো ঠিক যে—বিষ্ণু কীভাবে এমনটি ভেবে নেবে যে—রিংকু বিষ্ণুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে চাইছে—দৌলতখানের কারবারি রিংকু বরং বিষ্ণুর প্রেমের ফাঁদে আটকে দিনমান ধুঁকছে।

এদিকে পদে পদে রিংকু আকনকে নিজের প্রেমের সত্যাসত্য প্রমাণ দিতে হচ্ছে। মোবারেক মোল্লার চাতালের প্রবীণ কারবারিরা ভাবছে মহাজনের ছেলেকে ভীমরতিতে ধরেছে। এই ঘোর কেটে যেতে স্বল্পকাল প্রয়োজন। বিষ্ণুও তাকে সন্দেহের চোখে দেখছে—তার কাজ, তার চাওয়া ও এমনকি তার প্রতিটি পদক্ষেপকে। বিষ্ণুও ভাবছে—রিংকু আকনের এই মোহ ক্ষণিকের। প্রেম জয় করতে সে যেমন সময় নিতে চাইছে না, ধৈর্যের ধার ধারছে না, তেমনি একবার সে বিষ্ণুকে পেয়ে গেলে কর্পূরের মত উবে যাবে তার আবেগ। গরিবের বৌ বিষ্ণু তার কাছে হয়ে পড়বে অবহেলার মেয়েমানুষ। তখন তার না থাকবে কূল, না থাকবে সম্মান। এমনকি রিংকু নিজেও বুঝতে পারছে না যে সে কীসের ভিতরে পরে ঘুরপাক খাচ্ছে। সে যা বুঝতে পারছে—তা হল—এখন এই প্রেম কেবল তার কাছে তীব্র নেশার বস্তু। যে বস্তুর অনুপস্থিতি চারপাশকে টালমাটাল করে তোলে। যার শূন্যতায় পুরো পৃথিবী শূন্য মনে হয়। মনে হয় অন্ধকার। রিংকু বুঝতে পারছে, এই প্রেম সে জয় করতে না পারলে তার বাকি সব প্রাপ্তি মূল্যহীন। সকল অর্থবিত্ত তার কাছে অর্থহীন। আর প্রেম পেলে সকল শূন্যতা পূর্ণতায় রূপান্তরিত হবে। দিগ্‌বিদিক ছুটাছুটি শেষে প্রেমদগ্ধ রিংকু এমনও ভাবছে—এমন তীব্র প্রেমে পড়তে হবে জানলে সে তার পিতার কাছে কারবারি ও মোবারেক মোল্লার চাতালের কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি চাইতো। তবে এই পরিস্থিতিতে প্রেম মীমাংসা না করে আর গত্যন্তর নেই তার। এখন রিংকুর চারপাশের আকাশ-বাতাস ছেয়ে আছে বিষ্ণুর প্রেমের রং। তীব্র সুবাস তাকে ভাসিয়ে নিতে চাইছে রাত্রিদিন। প্রেমের জোয়ারে ভেসে এমন শক্তি সে সঞ্চয় করেছে—যেকোনো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া এখন নস্যি। খুব তুচ্ছ ঘটনা।

আজকের মত বৃষ্টি ক্ষ্যান্ত হলে সন্ধ্যা নেমে এলো। কিন্তু বৃষ্টির রেশ কাটল না। চারপাশ কেমন গুমোট মনে হলো। চাতালের পাকঘরে রাতের খোরাক রান্না হচ্ছে। সে ধোঁয়ায় নদীর কূল আচ্ছন্ন হলো। ধোঁয়ার সঙ্গে রান্নার তীব্র ঘ্রাণ ছড়াল চাতালজুড়ে। চাতালের কারবারিরা প্রতিদিনের প্রধান খাবার গ্রহণ করে সন্ধ্যা রাতে। সকালে নাস্তার সময়টুকু তারা কোনো রকম মুড়ি-খৈ-বাতাসা-কলা খেয়ে কাটিয়ে দেয়। দুপুরে রান্না হয় অল্পস্বল্প। ভাতের সঙ্গে লাউশাক-মিষ্টি কুমড়া শাক ভর্তা। খুব বেশি হলে ডিম ভাজি যুক্ত হয় সঙ্গে। কাজের খাতিরে দুপুরের খাবারের দিকে কারবারিদের মনোযোগ থাকে না। সব মনোযোগ জমা হয় রাতের খাবারের কালে। উটপাখির মত ক্ষুধা নিয়ে কারবারির দল গোল হয়ে বসে। ভালো-মন্দ সব খাবারের বন্দোবস্ত থাকে তখন। হাটের বড় মাছ, গরু ও খাসির মাংস আর মুরগি উঠে আসে পাতে। প্রায় প্রতিদিন রাতে হরেক পদের খাবারের আয়োজন দেখে মনে হয় রাজদরবারে অতিথি আপ্যায়ন চলছে। কেবল খাবারের দস্তরখান নয় রান্নার ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হলেও বোঝা যায় যে—আজ সন্ধ্যায় কী আয়োজন থাকছে। কেবল চাতাল নয়, চাতাল সংলগ্ন প্রায় প্রতিটি বাড়ির চুলা ও রান্নাঘরের চিমনি থেকে ধোঁয়ার সঙ্গে খাবারের সুবাস ছড়াতে থাকে। এ যেন তীব্র অপেক্ষার মুহূর্ত। এই অপেক্ষা ক্ষুধার্ত পেটের। ক্ষুধার্ত হৃদয়েরও। তবে আজকের সন্ধ্যায় ক্ষুধার সঙ্গে আছে তীব্র নিঃসঙ্গ ভাব। এ যেন বৃষ্টি চলে যাওয়ার বেদনায় ভরপুর সন্ধ্যা। বৃষ্টি নেই, বৃষ্টির রেখে যাওয়া বিষণ্ন বদন আছে প্রকৃতিজুড়ে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন শূন্য চাতাল রিংকু আকনের হৃদয়জুড়ে তীব্র হাহাকার সৃষ্টি করল। রিংকু সোজা চলে গেল চাতাল সংলগ্ন নদীর কূলে। যেখানে চাতালের কারবারিদের নাও বাঁধা। যেখানে বিরাট কড়ইগাছের ছায়া ঘন অন্ধকারের আবহ সৃষ্টি করেছে আজ। অন্ধকার আকাশে ধাবমান ধোঁয়া রিংকুর দেখে তার মনে হল—কী যেন, কে যেন ছেড়ে গেছে তাকে। বিয়োগান্তক অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হল মন। গাছের কোলে গিয়ে বসল সে—যেখানে বসলে ভরা গাঙের পানি এসে পা ধুয়ে দেয়। গলা ছেড়ে সে গাইল গান—

রাঙ্গা মিয়ার ভাঙা নাও
গোনে গোনে বাইয়া যাও
সাবধানে দিও পাড়ি খেয়া
আসমান ভইরাছে দেয়া

উজান দেইখা রিংকু কান্দে
নৌকা পড়ল জবর ফান্দে
গুন টানে হায় সাধ্য আছে কেডা
তরী বুঝি হইল খানখান জুয়ান বেডা

পিরিতির আসন পাতা
নাও ভিড়াইলাম যথাতথা
নাওয়ে দেহি পাটাতনে পানি
নাও বাওনের নিয়ম নাহি জানি

রাঙ্গা মিয়ার ভাঙা নাও
গোনে গোনে বাইয়া যাও
বিবিজানরে লইয়া
নাও ভাসাইলাম খোদার ভরস পাইয়া

রাঙ্গা মিয়ার ভাঙা নাও
গোনে গোনে বাইয়া যাও

রিংকু আকন খেয়াল করল তার পিছনে কেউ এসে দাঁড়িয়েছে। কেমন এক অচেনা উপস্থিতিতে হঠাৎ তার শরীর শিউরে উঠল। রিংকু পিছনে তাকিয়ে দেখল। এবারে স্ফীত হাসি দিয়ে বলল, চাচা, আপনে। কহন আইলেন? মনপুরার কারবারি সোমেদ বেপারী রিংকুর দিকে চেয়ে দরদভরা কণ্ঠে বলল, আপনের গান আমারে টাইনা আনল। গানের গলা তো আপনের মাশাল্লা। এইডা কার গান? নিজে বানলেন? রিংকু কোনো কথা বলল না। চুপ করে রইল। সোমেদ বেপারী নিজেই ফের বলল, শরম পাইলেন বাবাজি? রিংকু নীরবতা ভেঙে বলল, না চাচা, শরম কিয়ের। আমি বানলাম এই গান। এই এক্ষণে। সোমেদ বেপারী বলল, আল্লায় আপনেরে মেলা প্রতিভা দিছে, মেলা শক্তি-সমর্থও দিছে। তয় মনে অয় মেলা মনঃকষ্ট আছেন আপনে। না চাচা কষ্ট কিসের। রিংকু বলল। রিংকুর জবাব শুনে সোমেদ বেপারী বলল, কষ্ট তো আমাগো সকলের আছে, তয় কারো কষ্ট বড়, কারো কষ্ট ছোট। আপনে বেশি কষ্ট নিয়েন না। মানুষ কিন্তু আপনেরে কষ্ট দেওনের লেইগ্যা রেডি আছে। আপনে কষ্ট পাইলে হেরা আনন্দে ভাসপে। রিংকু বলল, চাচা, মানুষের কতা-কাজে আমি কষ্ট পাইনা। আমার নিজের সুখ নিজের কাছে, নিজের কষ্টও আমার নিজের।

সোমেদ বেপারী রিংকু আকনের কথা শুনে কিছুক্ষণ চুপ থাকল। মনে হয় সে যা বলতে চেয়েছিল তা বলতে গিয়ে দ্বিধায় পড়ল। পরক্ষণে সে বলল, আপনে বুঝমান পোলা, অনেক মাইপা-গুইনা কতা কন। নিজের ভিতরের কথা সহজে প্রকাশ করেন না। তবু, কিছু বিষয় তো আন্দাজ করা যায়। আপনার বাপা, আমাগো জয়নাল ভাই—মেলা ভালো মানুষ। একলগে দীর্ঘদিন কারবারি করছি। এখন শৈলের অসুখে পইড়া আর খৈলানে আইতে পারে না। হেও চায় আপনে বড় কারবারি অন। আমরাও চাই, আপনে বড় অন। তয় এইডাও সত্যি কতা যে—আপনে এহন যে দশা পাড় করতাছেন—এই অবস্থার একটা সুরাহা না কইরা অন্য কামে মন দেওন কঠিন। সোমেদ বেপারীর কথায় রিংকু আকন বুঝতে পারল, চাতালের সকলে তার প্রেমের খবর জেনে গেছে। প্রেমে যেমন দোষের কিছু নেই তেমনি এই কথা রাষ্ট্র হলেও কি এমন ক্ষতি। সে সোমেদ বেপারীকে শুধু বলল, এই বিষয়ডা নিয়া আমিই শুধু ভাববার চাই। সোমেদ বেপারী বলল, হেইডা অবশ্যই আপনের বিষয়। আপনে ভাবেন—আমাগো কিছু কওনের নাই। তয় একটা কতা কওন জরুরি। আপনে যে চাতালে আইছেন—হেইডা মোবারেক মোল্লার চাতাল—এই কতাও মনে রাখতে অইব। হে কিন্তু বড় ফেরেব্বাজ লোক। হের লগে যোগ অইছে বাবরজান মোল্লা। হেরা দুইজন কিন্তু খারাপের একষট্টি। সবসময় আপনের বাপের অর্থবিত্ত নিয়া হিংসা করতো। জয়নাল ভাইয়ের লগে কারবারিতে টেক্কা দিতে না পাইরা মেলা ষড়যন্ত্র করছে।

কথা বলতে গিয়ে মনপুরার সোমেদ বেপারী কিছুক্ষণ থামল। বিরতি নিয়ে ফের বলল, আপনে জয়নাল ভাইর উত্তরাধিকার। হেইকতা হেগো মনে আছে। হেরা কিন্তু আপনেরেও ছাইড়া কতা কইব না। সুযোগ পাইলে আপনেরে দেইখ্যা নিবো। হেরা চায় আপনেরে একটা বিপদের মধ্যে ফেলাইয়া দমন করতে। আপনে ভান্ডারিয়ার মজিদ রাড়ী ভাইয়ের লগেও নিরিবিলি কতা কইতে পারেন। হে আর আমি আপনের বাপের কাছের বন্ধু আছিলাম। বাড়ি ফিরা গিয়া জয়নাল ভাইরে জিগায়েন—এই কতা সত্যি না মিথ্যা। আপনের কোনো ক্ষতি অয়—তা আমাগো ভালো লাগবে না। সোমেদ বেপারীর কথায় রিংকু আকনের ভিতরে কোনো বিশেষ ভাবলেশ লক্ষ্য করা গেল না। কেবল মনে হল, মোবারেক মোল্লার চাতাল সম্পর্কে সে কিছু নতুন তথ্য পেল। তার বাবা জয়নাল আকন যা এর পূর্বে তাকে বলেনি বা বলার প্রয়োজনবোধ করেনি। সোমেদ বেপারীকে সে শুধু বলল, চাচা আপনেরে ধন্যবাদ। আপনেরা আমার কথা ভাবছেন, শুকরিয়া। সোমেদ বেপারী আর কথা বাড়াল না। যাওয়ার সময় সে শুধু বলল, আপনে একটু সাবধান থাইকেন, আমরা সন্দেহ করি, মোবারেক মোল্লা ও আর বাবরজান মোল্লা মিল্লা আপনের লগে ওই মাইয়ারে ভিড়ায় দিছে। একথা শুনে রিংকু বিরক্ত হলেও সোমেদ বেপারীকে কিছু বুঝতে দিল না। সে শুধু ডান থেকে বামে মাথা নাড়ল।

রিংকু দেখল, মানুষ প্রেমের মত সুন্দর সম্পর্কের সঙ্গে নোংরামি লেপ্টে দিতে দ্বিধা করে না। আঘাত করার সময় তারা ভেবে দেখে না কোথায়-কেন আঘাত করছে। তারা শুধু জানে আঘাত করতে হবে। সুন্দর হৃদয় ভাঙার মত অন্যায্য কাজের ফল নিরূপণের সময় ও বিবেকও তাদের নেই। রিংকু তৎক্ষণাৎ ভাবল, সে একাই এসবের বিরুদ্ধে লড়বে। বিষ্ণু তার সঙ্গী হলে লড়বে, বিষ্ণু তার সঙ্গে যদি না আসে তবু সে লড়বে।
কারণ বিষ্ণু তাকে এই পরীক্ষায় ফেলেছে। এখন এই পরীক্ষায় উত্তরণ ছাড়া কোনো উপায় নেই আর।

চলবে

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে হতাশায় মোড়ানো হারে শেষ বাংলাদেশের প্রস্তুতি
বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে হতাশায় মোড়ানো হারে শেষ বাংলাদেশের প্রস্তুতি
ডেমরায় স্টিল মিলে বিস্ফোরণে আহত ৭
ডেমরায় স্টিল মিলে বিস্ফোরণে আহত ৭
ক্যাশলেস লেনদেন জনপ্রিয় করার উদ্যোগ, না মানলে বাড়তি কর
ক্যাশলেস লেনদেন জনপ্রিয় করার উদ্যোগ, না মানলে বাড়তি কর
‘স্নাতক নন, এমন ভোটারদের মাঝে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বাইডেন’
‘স্নাতক নন, এমন ভোটারদের মাঝে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বাইডেন’
সর্বাধিক পঠিত
হৃদরোগের অপারেশন অর্থের লোভে, কাটা-ছেঁড়া ছাড়াই নিরাময় সম্ভব
একান্ত সাক্ষাৎকারে ডা. বিমল ছাজেড় হৃদরোগের অপারেশন অর্থের লোভে, কাটা-ছেঁড়া ছাড়াই নিরাময় সম্ভব
শাহীনের সহযোগী সিয়াম নেপালে আটক, রওনা দিয়েছে ডিবি টিম
এমপি আজীম হত্যাকাণ্ডশাহীনের সহযোগী সিয়াম নেপালে আটক, রওনা দিয়েছে ডিবি টিম
ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব
ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব
২ কোটি শিশুকে ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আজ
২ কোটি শিশুকে ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আজ
১৬ জেলায় তাপপ্রবাহ, ৩ জুন সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা
১৬ জেলায় তাপপ্রবাহ, ৩ জুন সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা