X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সময়। ভাবছি ওর দিকে তাকাব না

সাকিরা পারভীন
১২ মে ২০১৯, ১১:৩৪আপডেট : ১২ মে ২০১৯, ১১:৪৪

সময়। ভাবছি ওর দিকে তাকাব না কতিবা নাম্বার এক :  সাহিত্য সম্পাদক

একজন উঁচু দামী সম্পাদক এদিকে এগিয়ে। আসছিলেন।

আশেপাশে তদপেক্ষা নিচু সাহিত্য।

চোখে তোতলা মিষ্টি হাসি।

কথারাও। ছিল। ঐসকল বন্ধুত্বের লগে। ভাষা আওলাইয়া গেল না তো!

 

যাবে না। আশা আছে। ভাষার ছোট বোনের নাম।

সে আছে। এদেরকে কখনই ভালোবাসার সাথে মেলানো যাবে না।

 

সম্পাদকের আগমন। খবর। অত্র এলাকায় খুব দুঃখ।

বিস্মিত চোখ।

তথাকথিত নামকরা এক সাহিত্য। সম্পাদক। এইদিকে এগিয়ে। তাইলে এলাকার হবে ডা কি? হক্কলেই কবি অইব না তো!

ভাষার আশা চলিয়া যায় যায়। আমিও গিয়াছিলাম।

তাহার একখানা সাহিত্য। ছিঁড়েতে।  ছিঁড়িয়াছিলাম।

খুঁড়িয়াছিলাম।

 

যেন খুব চিনি তাকে এ ভঙ্গিতে সালাম ঠুকে পালাতে প্রস্তুত।

মন। and I’m caught  ‘আমাদের জন্য আপনার একটি কবিতা পাঠিয়ে দেবেন ’।

জ্বি। না মানে। আম্তা আম্তা। দুই দু’গুণে চার তিন দু গুণে পাঁচ... ভেতরে। বাইরে কাঠবাদামের খোলায় কাঠখট্টা রৌদ্র।

তারপর থেকে কত চন্দ্রভুক অমাবশ্যা কেটে গেল। সেই নাদের আলী আর আইল না।

কবিতা। হইলো না। দুঃখটা এত ভালো ছিল যে তাহাকে প্রকাশ করা গেল না।

পারিলে। 

একখানা কবিতা তাহাকে পাঠাইতাম।

কিন্তু কোথায়। পাইব।

তাহাকে।

তিনি সম্পাদিত হচ্ছেন।  অচলায়তনে। 

 

কতিবা নাম্বার দুই :  হলুদ পা’জামা

হাটু তিন ভাঁজ করে ঊরু এলিয়ে তখন থেকে শুয়ে আছে।

যতবার এপথ দিয়ে যাচ্ছি ।

তাকাচ্ছি। ওভেন বেকড্ সময়।

রান্না শেষ হতে বাকি। আরো কিছুটা।

সময়। ভাবছি ওর দিকে তাকাব না।

তবু। তাকাচ্ছি।

বাম পা’টার কড়ে আঙুলটা ধরে—

টেনে নামিয়ে দিলাম।

মনে মনে। এতে ওর আরাম হলো কি?

বোঝা গেল না।

আমার?

হলো?

হয়ে গেল?

বউ থাকলে বলত—ওতেই হবে। নেই। এখন!

ঐ পথ দিয়ে আবার গেলাম।

পা’গুলো তখনও।

দলা পাকানো।

এথলেটের লং জাম্প।

 

হাত না লাগিয়ে পারা গেল না। 

পা’জামাটার রঙ ছিল হলুদ।

প্রজাপতি।

 

কতিবা নাম্বার তিন : অপবাদ

কবি হওয়ার পর থেকে আমি আর লিখতে পারছি না।

কারা আমাকে কবি বানালো তাদেরকে পেলে আমি খুন করব।

থাকত।

থাকতাম।

আমার কবিতাগুলো।

নির্ভয়ে।

নিভৃতে।

তাদেরকে পেলে আমি খুন করতাম।

ধর্মগ্রন্থ বলে, খুন একটি উত্তম কাজ।

মিথ্যা।

সত্যের মতন লাগে না, বলো?

 

কতিবা নাম্বার চার :  বিশেষ

তারপর আমাকে ওরা আমার নামকরণ করেছে স্পেশাল চাইল্ড।

ওরা ভাবে আমি বিশেষ।

বিশেষায়িত বেবি। মা কাঁদে। আমি হাসি। বাবা ছাদে। গাছে পানি দেয়। চোখে।

মা ভেবেছিল। আঁকব। বাবা। লিখব। চাচা। গাইব। দাদা। ছিঁড়ব।

আমি ছিঁড়ি।

সময়।

রাজনীতি।

 

কতিবা নাম্বার পাঁচ : দাম্পত্য

বলেছি। স্বল্পতম সময়ে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হবে।

বিনিময়ে এক প্যাকেট সিগারেট।

সিগারেট ভালো। লাগে। লাগে তো!

সময়।

রাজনীতি। ফকিরনীতি।

ও ঝড়ের রাতে সিগারেট বানাতে গেছে।

ফিরে এসে দেখবে আমি মরা। তেলাপোকা। ইঁদুর মারার কলে জ্যান্ত ইঁদুর। বেনসন কোম্পানি জানবে না। ওর চোখের

কোনায় জল।

বারান্দায় দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট তখন ও খাবে।

জল কেন এলো

কেন পানি এলো না প্রিয়তম

পানি হলে ভালো হত।

হত

একটি মুসলমান কবিতা।   

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
জাকের পার্টির ‘বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত
জাকের পার্টির ‘বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা