X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্মারক যুদ্ধবিমান ভেঙে ফেলায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

পবিপ্রবি প্রতিনিধি
০৭ মার্চ ২০২১, ১১:০০আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২১, ১১:০০

পটুয়াখালী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও চলমান লেবুখালী (পায়রা) সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনায় কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়কের পাগলার মোড় নামক স্থানে ইউনিভার্সিটি স্কয়ারের বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশক স্তম্ভে ব্যবহৃত স্মারক যুদ্ধবিমান ভেঙে ফেলায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা।

শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে পায়রা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য স্মারক যুদ্ধবিমান সম্বলিত বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশক স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হয়। লেবুখালী সেতুর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম জানান, সেতু নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লং জিয়ন রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশক স্তম্ভটির ভেঙেছে। এদিকে স্থাপনাটিতে থাকা স্মারক যুদ্ধবিমানটি ভেঙে নষ্ট করে ফেলায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।  ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, নির্দেশক স্তম্ভটিতে থাকা স্মারক যুদ্ধবিমানটি ভেঙ্গে না ফেলে যদি সুরক্ষিত অবস্থায় অপসারণ করা হতো তাহলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে পুনঃরায় ব্যবহার করা যেত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সেতু কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি ও অব্যবস্থাপনার কারণে স্মারক যুদ্ধবিমানটিকে ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে যেটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এদিকে এ ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও লেবুখালী সেতু নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ।

লেবুখালী সেতুর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, ‘স্থাপনাটি সরিয়ে নিতে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ও যোগাযোগ করলেও তারা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে ঠিকাদার স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলেছে।’ তবে আগে চিঠি চালাচালি করলেও হঠাৎ করে শনিবার স্থাপনাটি  সরানোর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি বলেও স্বীকার করেন তিনি।

প্রকল্প পরিচালক দাবি করেন, বিষয়টি নিয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তেমন আমলে নেননি। এদিকে যুদ্ধবিমানটিকে সুরক্ষিত অবস্থায় অপসারণ না করে ভেঙে ফেলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পিডি জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাছে  কৈফিয়ত চাওয়া হতে পারে।

পবিপ্রবির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ও রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড.স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত জানান, স্থাপনাটি অপসারনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সক্ষমতা না থাকায় বিমান বাহিনীর সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই হঠাৎ করে নির্দেশক স্তম্ভটি ভেঙে ফেলায় তাৎক্ষণিক কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়েছি এবং মিটিং করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
নির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
উপজেলা নির্বাচননির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?