শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অবিলম্বে ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আন্দোলনকারীদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৬ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে কিন্তু তারপরও সরকারের টনক নড়ছে না। আমরা লক্ষ্য করছি, তাদের যৌক্তিক আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে এসে এ আন্দোলনকে সরকার নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে এখানে অবস্থান করছি, যাতে তারা নিজেদের একা মনে না করেন। শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অর্থ সংগ্রহের জন্য যে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেছিল সেটাও সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবাও বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে ছাত্ররা এই ভিসিকে চাচ্ছে না সেখানে কেন জোর করে তিনি এই পদে থাকতে চাচ্ছেন সেটাই আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতি প্রসঙ্গে তারা বলেন, আমরা হতাশ হয়ে যাই যখন শিক্ষক সমিতি থেকে বলা হয় যে, এই আন্দোলন থেকে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা করছে। অথচ এই শিক্ষকদের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হওয়ার পরপরই তাদের পাশে দাঁড়ানো, প্রতিবাদ করা এবং এই সমস্যার সমাধান করা।