যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( যবিপ্রবি) ছাত্র রিয়াদ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকালে যশোর শহরের কাজীপাড়া তেঁতুলতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, নাইমুল ইসলাম রিয়াদ যবিপ্রবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যান নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার জেরে ওইবছরের ১৪ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন রিয়াদ। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১৫ জুলাই রিয়াদের মামা রফিকুল ইসলাম রাজু বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি মামলাটির তদন্ত করে। ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় সিআইডি।
অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসান, যবিপ্রবির ছাত্র ফয়সাল তানভীর ও আজিজুল ইসলাম, যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার আজিজুল হক খোকনের ছেলে সজিবুর রহমান, কাজীপাড়া তেঁতুলতলা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, শহরের মিশনপাড়ার হাফিজ আহমেদের ছেলে ছালছাবিল আহমেদ জিসান, পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে ইয়াসিন মোহাম্মদ কাজল, ঝুমঝুমপুর চান্দের মোড় এলাকার এসএম নাসির উদ্দিনের ছেলে এসএম জাবেদ উদ্দিন, শহরের খড়কি কামার দীঘিরপাড় এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান ওরফে ডিকু এবং কারবালা এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে ভুট্টো।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, রওশন ইকবাল শাহী রিয়াদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে একাধিকবার ওয়ারেন্ট জারি হয়। কিন্তু সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল পুলিশের মাধ্যমে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।