শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব বাজেট প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ। তারা বলেন, এই সরকার দিন দিন শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়াচ্ছে। যখন আরও বেশি শিক্ষার্থীকে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরও প্রণোদনা দেওয়ার কথা ছিল, তখন খাতা-কলম কেনার সামর্থ্যটুকুও এই সরকার কেড়ে নিচ্ছে। সব শিক্ষাসামগ্রীর দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্র সমাবেশে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। এ সময় নেতারা শিক্ষা উপকরণের দাম কমানো, শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ বরাদ্দ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশ ট্যাক্স বাতিল করে, শিক্ষাব্যয় সংকোচনের দাবি জানান।
এ ছাড়া অবিলম্বে ছাত্রস্বার্থ রক্ষা ও ছাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীবান্ধব বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান তারা। সমাবেশে নেতাকর্মীরা রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ করেন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি দীপক শীলের সভাপতিত্বে ও সহসাধারণ সম্পাদক প্রিতম ফকিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজোয়ান হক মুক্তসহ আরও অনেকে।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করে দীপক শীল বলেন, আমরা বারবার বলে এসেছি শিক্ষা খাতে জাতীয় আয়ের আট শতাংশ এবং মোট বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। কিন্তু শিক্ষা খাতের সঙ্গে সামরিক ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে যুক্ত করা হয়েছে। এই সরকার দিন দিন শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়াচ্ছে। যখন আরও বেশি শিক্ষার্থীকে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরও প্রণোদনা দেওয়ার কথা ছিল, তখন খাতা-কলম কেনার সামর্থ্যটুকুও এই সরকার কেড়ে নিচ্ছে। সব শিক্ষাসামগ্রীর দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন ও অন্যান্য ফি কয়েক গুণ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের লেখাপড়ার অধিকার কীভাবে নিশ্চিত হবে?
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি কলেজ ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর একইভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব এসেছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশনায় তা স্থগিত হয়।
দীপক শীল বলেন, এর আগে ২০১০ ও ২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে ভ্যাট আদায়ের পাঁয়তারা করা হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকার ভ্যাট প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। এই বাজেটের মধ্য দিয়ে সরকার এ দেশের শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ করেছে।
