X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেস ভাড়া মওকুফের দাবি হাজী দানেশের শিক্ষার্থীদের, মালিকের ‘না’

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
১২ এপ্রিল ২০২০, ১৬:২২আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২০, ১৬:৪৪
image

হাবিপ্রবি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সকল গণপরিবহন। ব্যতিক্রম নয় দিনাজপুরের  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও (হাবিপ্রবি)। গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়। ছুটি এখনও বলবৎ আছে। 

এরই মধ্যে  টিউশনি আর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষমের টাকায় যাদের পড়াশোনা ও মেসভাড়া চলতো, সেসব মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এপ্রিল মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে মেস ও বাসা ভাড়ার জন্য মালিক পক্ষ থেকে আসতে শুরু করেছে চাপ।

দরিদ্র ও অস্বচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসা এসব শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে তাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে অসহায়ত্বের ছাপ। মোট শিক্ষার্থীর ৪২ শতাংশ  আবাসিক সুবিধা পেলেও বাকিরা শহর ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন মেস এবং ভাড়া বাসাবাড়িতে  বসবাস করে আসছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষি অনুষদের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘পাঁচ সদস্যের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমার দিনমজুর বাবা।  এখন বাবা রাস্তায় বেরও হতে পারছেন না, ঘরে চাল-ডালও শেষ। অনেক কষ্টে চলতে হচ্ছে আমাদের। তার ওপর মেসভাড়া দেওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারছি না।’
নতুন ভর্তি হওয়া আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বাবা নেই। তিন ভাইবোনের মধ্যে আমিই বড়। ভর্তির সময় টাকা জোগাড় করতে না পারলেও একটি সংগঠনের সহযোগিতায় তা জোগাড় হয়ে যায়। মহাবলিপুরের এক ছাত্রাবাসে আমি থাকতাম ও শহরে একটি টিউশনি করিয়ে সেই মেস খরচের টাকা মেটাতাম। আজ করোনার কারণে টিউশনিটা বন্ধ হয়ে গেছে। মেসের টাকা কীভাবে দেব বুঝতে পারছি না।’

মেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন বলেন, ‘আমরা মিটিং করেছি, এডিসি সাহেবও ডেকেছিল আমাদের। আমাদের কেউ ছাড় দিতে রাজি না। সবাই অনেক ঋণ করে এসব বিল্ডিং করেছে। অনেকের শেষ সম্বল দিয়ে বাড়ি করেছে আর এটার ভাড়া দিয়ে সংসার চলে। ভাড়া ছাড় দিলে সে তো করোনাভাইরাতে আক্রান্ত না হলেও মরবে! আর মেসে সবাইকে ছাড় দিতে হবে কেন? কিন্তু যদি কেউ আবেদন করে আমাদের কাছে বা কোনও মেস মালিক চায় তাহলে তারা করতে পারেন। মেস একটা ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, এখানে জোর করা চলে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এ সমস্যার বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি, দ্রুত মেস মালিকদের সাথে মিটিং করে তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে।’
দেশের এ দূর্যোগময় মুহূর্তে উভয় পক্ষকেই ছাড় দিয়ে অস্বচ্ছল এবং প্রকৃত অভাবী শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল ও সংশ্লিষ্টরা।

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর অঙ্গহানি করলেন স্ত্রী
দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর অঙ্গহানি করলেন স্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি