তরুণদের সামাজিক ব্যবসায় আরও তৎপর করার লক্ষ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার ‘সোশ্যাল বিজনেজ ইনোভিশন’ নামে একটি কর্মশালার আয়োজন করে এসবিওয়াইএ গ্লোবাল।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাক বিজনেজ স্কুলের সহকারী অধ্যাপক শামীম এহসানুল হক, ইউনুস সেন্টারের সাধারণ পরিচালক এমএফ এম আমির খসরু, অ্যাপল ইনকরপোরেশন এর মার্কেটিং রিটেইল এবং সেল ডেভেলপার ফার্নান্ডো রেঙ্গাল; এসবিঅয়াইএ গ্লোবাল এর প্রতিষ্ঠাতা ও মূল কার্যনির্বাহক সজীব এম খাইরুল ইসলাম। সোশ্যাল বিজনেসে সম্পৃক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা, অভিমত এবং এই পথে তাদের যাত্রার কীভাবে শুরু হয় তা শেয়ার করেন।
কর্মশালায় আমির খসরু কথা বলেন সোশ্যাল বিজনেজ এবং বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে এর প্রভাব নিয়ে। সোশ্যাল বিজেনেজের গুরুত্ব এবং এক্ষেত্রে তরুণদের অবদান নিয়ে আলোচনা এছাড়া এসবিঅয়াইএ গ্লোবাল এর বিভিন্ন স্তর এবং এদের কার্যপ্রণালী নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এরপর আলোচনায় অংশ নেন শামীম এহসানুল হক। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএস ডিপার্টমেন্টের একজন শিক্ষক। তিনি সোশ্যাল বিজনেজ ও অর্ডিনারি বিজনেজের পার্থক্য নিয়ে কথা বলেন।
এরপর মঞ্চে আসেন ফার্নান্ডো রেঙ্গাল। তিনি মার্কেটিং এর বিভিন্ন পথ নিয়ে কথা বলেন এবং এর সঙ্গে সোশ্যাল বিজনেজের সম্পৃক্ততা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘কখনো নিজের স্বপ্নগুলোকে ভুলে যেও না! সবসময় এগুলো মনে রেখো এবং এগুলো পূরণ করার জন্য জীবনযাপন করো।’
আলোচনায় সবশেষে আসেন এসবিঅয়াইএ গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা সজীব এম খাইরুল ইসলাম। তিনি এসবিঅয়াইএ এর পরিকল্পনা, লক্ষ্য, বিভিন্ন চড়াই-উৎড়াই এবং সেগুলো পার করে অর্জিত সাফল্য নিয়ে কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে সাফল্যের কোনও সীমা নেই। তাদের প্রতিষ্ঠান ততটাই সফল হবে যত বেশি মানুষের সেবা তারা করতে পারবেন সামাজিক ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান করে।
অনুষ্ঠানের আগে ‘কল ফর পেপার’ এর আয়োজন করে ছিল ইউনেস্কো ক্লাব এবং এতে জয়ী হয়েছিল হাল্ট প্রাইজ জয়ী দল টিম সাইনার্জি। এই দলের উপস্থাপনার বিষয় ছিল সোশ্যাল বিজনেজ এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে তার প্রভাব। অপর সদস্যরা আসতে না পারায় দলনেতা ওয়াহিদ হোসেন এই উপস্থাপনাটি পরিবেশন করেন। এর ম্যাধ্যমে শেষ হয় প্রথম অংশ!
এরপর কর্মশালা অধিবেশনটি পরিচালিত হয় কয়েকটি খণ্ডে। প্রথম খণ্ডে সজীব এম খাইরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন ‘সোশ্যাল বিজনেজ ১০১’ বিষয়ে। এরপর ফার্নান্ডো রেঙ্গাল নিয়ে অন্য এক বক্তা কথা বলেন ‘হাও টু বিল্ড আ স্টার্টআপ ব্রান্ড, বিষয়ে। সর্বশেষ বক্তা ওয়াহিদ হোসেন সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘মডেল সোশ্যাল বিজনেজ’ এই বিষয়টির সঙ্গে। এরপরে ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি অ্যাক্টিভিটি সেশন যার ম্যাধ্যমে তারা কিছু নতুন উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করেন। সবশেষে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের হাতে এই কর্মশালায় উপস্থিতির সনদপত্র তুলে দেয় ইউনেস্কো ক্লাব।
/এএইচ/