X
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
১২ আষাঢ় ১৪৩২

পাঠ্যবইয়ের ভুল তদন্তে সময় চাইবে কমিটি

এস এম আববাস
১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:১৬আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:২০

পাঠ্যবইয়ের ভুল নির্ণয় ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি আরও সাত দিন সময় চাইবে। ভুল ও বিকৃতির জন্য পাঠ্যবইয়ের কাজে কার কী দায়িত্ব ছিল এবং কার কী ভুল ছিল তা যাচাইয়ের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করতেই এই সময় চাওয়া হবে।

পাঠ্যবইয়ে ভুল

তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কার কী ভুল ছিল তা যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সাত দিন সময় চাওয়া হবে। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেই এই সময় চাওয়া হবে।’  

বছরের প্রথম দিন সারা দেশে একযোগে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি বই শিক্ষর্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছার পর পাঠ্যবইতে ভুল  ও অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা বিভাগ।

এ ঘটনায় গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ( এনসিটিবি) –এর দুই কর্মকর্তা প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার এবং ঊর্ধতন কর্মকর্তা লানা হুমায়রা খানকে ওএসডি করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বোর্ডের আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার সুজাউল আবেদীনকে।

একই দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে গত ১২ জানুয়ারি কমিটি পুনর্গঠন করে চার সদস্যের কমিটিতে যুক্ত করা হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. তরুণ কান্তি শিকদারকে। 

কমিটিকে পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময় শেষ হলেও  কমিটির পক্ষ থেকে শেষ দিন প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে কমিটির প্রধান রুহী রহমান বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ে ভুল-ত্রুটির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিতে হবে। ভবিষ্যতে নির্ভুল পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সুপারিশও দিতে হবে। তা পূর্ণাঙ্গভাবে হওয়া প্রয়োজন। সে কারণেই সময় চাওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে বর্ণ পরিচয়ে ‘ও’ চেনাতে লেখা হয়েছে ‘ওড়না চাই’ এবং ‘ছাগলের আম খাওয়া’ এমন অসঙ্গতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লাসের বইতে ভুলের ছড়াছড়ি দেখা যায়। কুসুমকুমারী দাশের কবিতা বিকৃতি করে ছাপানো হয় পাঠ্যবইতে। এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসে। 

এসএমএ/ এপিএইচ/ 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ? দূর করার ৬ উপায় জেনে নিন
ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ? দূর করার ৬ উপায় জেনে নিন
খাগড়াছড়িতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারিসহ ৬ নির্দেশনা
খাগড়াছড়িতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারিসহ ৬ নির্দেশনা
ইনিংস সমৃদ্ধ করার আশায় দ্বিতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের 
ইনিংস সমৃদ্ধ করার আশায় দ্বিতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের 
বৈশ্বিক অনুদান কমায় রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
বৈশ্বিক অনুদান কমায় রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী টিটুকে সরিয়ে দিলেন ট্রাইব্যুনাল
যে কারণে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী টিটুকে সরিয়ে দিলেন ট্রাইব্যুনাল
রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু
রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু
বছরে ৯৬০ কোটি টাকা সুদ দিতে হয়, চলছে না আইসিবি: অধ্যাপক আবু আহমেদ
বছরে ৯৬০ কোটি টাকা সুদ দিতে হয়, চলছে না আইসিবি: অধ্যাপক আবু আহমেদ
আটকের পর অধ্যক্ষ বললেন ‘আ.লীগ করায় দোষ হলে যেকোনও শাস্তি মেনে নেবো’
আটকের পর অধ্যক্ষ বললেন ‘আ.লীগ করায় দোষ হলে যেকোনও শাস্তি মেনে নেবো’
ইশরাক বললেন ক্ষমা চাইতে, আসিফ দিলেন ‘কড়া বার্তা’
ইশরাক বললেন ক্ষমা চাইতে, আসিফ দিলেন ‘কড়া বার্তা’