X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠ্যবইয়ের ভুল তদন্তে সময় চাইবে কমিটি

এস এম আববাস
১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:১৬আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:২০

পাঠ্যবইয়ের ভুল নির্ণয় ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি আরও সাত দিন সময় চাইবে। ভুল ও বিকৃতির জন্য পাঠ্যবইয়ের কাজে কার কী দায়িত্ব ছিল এবং কার কী ভুল ছিল তা যাচাইয়ের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করতেই এই সময় চাওয়া হবে।

পাঠ্যবইয়ে ভুল

তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কার কী ভুল ছিল তা যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সাত দিন সময় চাওয়া হবে। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেই এই সময় চাওয়া হবে।’  

বছরের প্রথম দিন সারা দেশে একযোগে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি বই শিক্ষর্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছার পর পাঠ্যবইতে ভুল  ও অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা বিভাগ।

এ ঘটনায় গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ( এনসিটিবি) –এর দুই কর্মকর্তা প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার এবং ঊর্ধতন কর্মকর্তা লানা হুমায়রা খানকে ওএসডি করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বোর্ডের আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার সুজাউল আবেদীনকে।

একই দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে গত ১২ জানুয়ারি কমিটি পুনর্গঠন করে চার সদস্যের কমিটিতে যুক্ত করা হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. তরুণ কান্তি শিকদারকে। 

কমিটিকে পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময় শেষ হলেও  কমিটির পক্ষ থেকে শেষ দিন প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে কমিটির প্রধান রুহী রহমান বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ে ভুল-ত্রুটির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিতে হবে। ভবিষ্যতে নির্ভুল পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সুপারিশও দিতে হবে। তা পূর্ণাঙ্গভাবে হওয়া প্রয়োজন। সে কারণেই সময় চাওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে বর্ণ পরিচয়ে ‘ও’ চেনাতে লেখা হয়েছে ‘ওড়না চাই’ এবং ‘ছাগলের আম খাওয়া’ এমন অসঙ্গতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লাসের বইতে ভুলের ছড়াছড়ি দেখা যায়। কুসুমকুমারী দাশের কবিতা বিকৃতি করে ছাপানো হয় পাঠ্যবইতে। এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসে। 

এসএমএ/ এপিএইচ/ 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুড়িগ্রামে বিএনপির ৩ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার
কুড়িগ্রামে বিএনপির ৩ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার
বাগদাদে ইরাকি টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা
বাগদাদে ইরাকি টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা
লিভারপুলের শিরোপার আশায় এবার ধাক্কা দিলো ওয়েস্ট হ্যাম
লিভারপুলের শিরোপার আশায় এবার ধাক্কা দিলো ওয়েস্ট হ্যাম
গরমে বিপণন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীর মৃত্যু
গরমে বিপণন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন: এখনও অপেক্ষায় স্বজনরা
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন: এখনও অপেক্ষায় স্বজনরা