X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

রবিবার নিজস্ব ভবনে যাচ্ছে ইসি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:২৬আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৫৬





নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরস্থ কার্যালয়ে শেষ দিনের মতো অফিস করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী রবিবার (২২ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নিজস্ব ভবনে অফিস শুরু করবে রাষ্ট্রের এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৩১ ডিসেম্বর নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। অবশ্য ভবনটি নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদের ৬ মাস আগেই কমিশন নতুন ভবনে উঠতে যাচ্ছে। ফলে ভবনের বেশ কিছু কাজ এখনও সম্পূর্ণ রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনের ইসি কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিনিসপত্র কাগজের কার্টুন ও বস্তায় করে প্যাকেটজাত করতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, গত কয়েকদিন ধরেই তারা যার-যার শাখার প্রয়োজনীয় ফাইল ও অন্য জিনিসপত্র গোছানো শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার এগুলে গোছানো শেষ হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার এসব জিনিসপত্র নতুন ভবনে নিয়ে যার-যার নির্ধারিত কক্ষে নিয়ে সাজানো হবে। রবিবার তারা সেখানে আনুষ্ঠানিক অফিস শুরু করবেন।
পুরনো ভবন ছেড়ে নতুন ভবনে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিজস্ব ভবন না হলেও দীর্ঘ ২২ বছর এই ভবনে অফিস করছি। এটার প্রতি একটা মায়া তৈরি করেছে। ছেড়ে যেতে খারাপ লাগছে। তবে খুশির কথা হচ্ছে আমরা নিজস্ব ভবনে যাচ্ছি। সেখানে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে হয়তো মায়াটা কেটে যাবে।’
জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিশনার এর অফিস ছিল ইসলামাবাদে এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিস ছিল ঢাকার মোমেনবাগে। ১৯৭১ সালে মে-জুন মাসে মুক্তিযোদ্ধারা প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিসে বোমায় উড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর তা সচিবালয়ে স্থানান্তরিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের শেষ দিকে পরিকল্পনা কমিশনের ৫ ও ৬ নম্বর ব্লকে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকে গত ৪৩ বছর এই কার্যালয়টি নির্বাচন কমিশন ব্যবহার করছে।
নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভবন তৈরির পরিকল্পনা প্রায় দুই দশক আগে হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। জানা গেছে ১৯৯৮ সালে বর্তমান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের স্থানে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত ভবন ইসির নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ন্যাম সম্মেলন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সেখানে কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা হলে ওই ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। পরে আগারগাঁওয়ে অন্য একটি জমি ইসির নামে বরাদ্দ হয়। তবে জমিটির আয়তন কম হওয়ায় হুদা কমিশন তা পরিবর্তন করে বর্তমান ভবনের জায়গাটি বরাদ্দ করিয়ে দেয়।
২০১১ সালে নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হয় ২১৩ কোটি টাকায়। একটি প্রকল্পের আওতায় দু’টি বেইজমেন্ট ও ১২তলা বিশিষ্ট ১.২২ লাখ বর্গফুট আয়তনের ইটিআই ভবন এবং দুটি বেইজমেন্ট ও ১১তলা বিশিষ্ট ২.৫৮ লাখ বর্গফুট আয়তনের নির্বাচন ভবন নির্মাণ হল।
/ইএইচএস/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট