X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

অষ্টম শ্রেণি পাস না হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স নয়

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ মার্চ ২০১৭, ১৪:৫৩আপডেট : ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৭:৩৪

মন্ত্রিসভা বৈঠক (ফাইল ফটো)

গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। আর লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে 'সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। আগের আইনে চালক বা হেলপারের শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা ছিল না।    

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, শাস্তি বাড়িয়ে আইনটি করা হয়েছে। এই আইনের ৪০ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়।

একইসঙ্গে গাড়ির হেলপার বা কন্ডাক্টরের (ভাড়া আদায়কারী) লাইসেন্স থাকাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর হেলপার ও কন্ডাক্টরের যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে তাকে  লিখতে ও পড়তে পারতে হবে। হেলপার বা কন্ডাক্টরের লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনে বসতে না দিয়ে কেউ ওই আসনে বসলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

গাড়ি চালানো অবস্থায় কোনও চালক মোবাইল ফোন বা এরূপ কোনও ডিভাইস ব্যবহার করলে এক মাসের জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বেপেরোয়া গাড়ি চালালে ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। গতিসীমা লঙ্ঘন করলেও একই শস্তির বিধান রাখা হয়।  তবে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও ফুটপাত দিয়ে মটর সাইকেল চালালে ৩ মাস কারাদণ্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে এই আইনে।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নিহতের ঘটনা ঘটলে দণ্ডবিধির আওতায় বিচার হবে। এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দণ্ডবিধিতে।

এছাড়াও আমলযোগ্য অপরাধে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় আটক করতে পারবে বলেও বিধান রাখা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আদালতের নির্দেশে ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশকে আইন করা হচ্ছে। আইনটি বড়, এখানে আরও বিস্তারিত করা হচ্ছে।
আইনের ৪৫ ধারায় এ ধরনের ২৫টি নির্দেশনা রয়েছে। এই নির্দেশনার মধ্যে প্রথম অংশে রয়েছে ১৪টি এবং অপর অংশে রয়েছে ১১টি। প্রথম অংশের নির্দেশনা অমান্য করলে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশের নির্দেশনা অমান্য করলে একমাস কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, এসব নির্দেশনার প্রথম ১৪টির মধ্যে রয়েছে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালানো, শ্রমিকদের গাড়ি চালানো, বিপরীত দিক থেকে গাড়ি চালানো, নির্ধারিত পথের উল্টো পাশে (রঙ সাইডে) মোটরযান রেখে যানজট সৃষ্টি, চলন্ত অবস্থায় যাত্রী নামানো উঠানো, প্রতিবন্ধীদের জন্য অনুকূল সুযোগ সুবিধা রাখা, ফুটপথের ওপর দিয়ে গাড়ি চালানো ইত্যাদি।

দ্বিতীয় অংশের ১১টি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে গাড়িচালনারত অবস্থায় চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার, সিটবেল্ট না বাঁধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের বসার ব্যবস্থা না রাখা ইত্যাদি। আইনটিতে নতুন প্রস্তাব হিসেবে এসব ধারা ও নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

/এসএমএ/টিএন/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মতবিরোধ সত্ত্বেও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র
মতবিরোধ সত্ত্বেও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র
২৪ ঘণ্টায় চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে ২৩ জন গ্রেফতার
২৪ ঘণ্টায় চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে ২৩ জন গ্রেফতার
আ.লীগের পর জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের আহ্বান গণঅধিকার পরিষদের
আ.লীগের পর জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের আহ্বান গণঅধিকার পরিষদের
‘নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম শক্ত হাতে দমন করা হবে’
‘নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম শক্ত হাতে দমন করা হবে’
সর্বাধিক পঠিত
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ