X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

১৬০০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি সরকারি প্রতিষ্ঠানে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৩৪আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৪৬

বিদ্যুৎ

দেশের সাধারণ জনগণ ও বেসরকারি সংস্থা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিদ্যুৎ বিল আদায়ে সরকার খড়গহস্ত হলেও বিল পরিশোধ করে না  সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই। খোদ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়,সংস্থা ও বিভাগগুলোর কাছেই এক হাজার ৬শ’ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের। এই বিলের অর্ধেকেরও বেশি পাওনা রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে। এছাড়াও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,শিক্ষা,স্বরাষ্ট্র,বস্ত্র ও পাট,শিল্প-কৃষিসহ মোট ৪০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রয়েছে দেনাদারের তালিকায়। আজ সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোর কাছেই বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে। কিন্তু, সেবামূলক সংস্থা হওয়ায় বিল আদায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতেও পারছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এর সুযোগ নিয়ে বকেয়ার পরিমাণ বাড়িয়েই চলছে সরকারি এ সংস্থাগুলো। আজ বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উঠে এলে বকেয়া বিল আদায়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সংসদ  ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), মুহিবুর রহমান মানিক, মো.তাজুল ইসলাম এবং সামশুল হক চৌধুরী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ আমন্ত্রণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বৈঠকে যোগদান করেন।

কার্যপত্র থেকে জানা গেছে,  সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিভাগের কাছে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের অর্ধেকেরও বেশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে। তবে বিলের অঙ্ক জানা যায়নি।

কমিটির পক্ষ থেকে বকেয়া আদায়ের পদক্ষেপ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায় যে বকেয়া বিলের বড় একটি অংশ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের কাছে। আর এসব প্রতিষ্ঠান রাতে সড়কে বিদ্যুৎ বাতি জ্বালানোর কারণে তাদের বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। এখন বকেয়া আদায়ের জন্য তাদের লাইন কেটে দিতে গেলে রাস্তাঘাট অন্ধকার হয়ে যাবে। এতে ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ। যার কারণে তারা ইচ্ছা করলেও এসব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের লাইন বিচ্ছিন্ন করতে পারছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য সামশুল হক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এক হাজার ৬শ’ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বাকি আছে। আমরা কমিটি থেকে মন্ত্রণালয়কে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের উদ্যোগ নিতে বলেছি।

বৈঠক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিদ্যুৎ বিলের দেনাদারের তালিকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরেই রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নাম। এরপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র, বস্ত্র ও পাট, শিল্প-কৃষিসহ মোট ৪০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রয়েছে এ তালিকায়। তবে কোন মন্ত্রণালয়ের কাছে কত পাওনা তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

বৈঠকে আগামী ১-৮ নভেম্বর ২০১৭, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ পার্লমেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ৬৩তম সম্মেলনে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

/ইএইচএস/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা