X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘এক ঝলক দেখেই পৃথুলাকে চিনতে পারি’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ মার্চ ২০১৮, ২২:৩২আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৮, ০১:০১

‘পৃথুলাকে চিনতে আমার কোনও সমস্যা হয়নি। এক ঝলক দেখেই তাকে চিনতে পারি’-ভারাক্রান্ত কণ্ঠে এ কথা বলেন তার নানা এম এ মান্নান খান। সোমবার আর্মি স্টেডিয়াম থেকে পৃথুলার মরদেহ রাজধানীর শ্যামলীর আশা টাওয়ারে (পৃথুলার মায়ের কর্মস্থল) আনার পর স্মৃতিকাতর হয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে কো-পাইলট পৃথুলা রশিদের নানা এ কথা বলেন।

পৃথুলা রশিদের ডেথ সার্টিফিকেট নানা এম এ মান্নান খানই নেপালে গিয়েছিলেন পৃথুলা রশিদের মরদেহ শনাক্ত করতে। তিনি বলেন, ‘নেপালে গিয়ে আমি পৃথুলাকে শনাক্ত করি। চিনতে সমস্যা হয়নি। অ্যাজ ইট ইজ ছিল। শুনেছি মাথায় আঘাত পেয়েছিল। শরীরের কিছু জায়গা পুড়ে গিয়েছিল, বিশেষ করে পিঠের অংশে। এছাড়া ছোটখাটো কিছু ইনজুরি ছিল। মাথার আঘাতটা (পিছনের দিকে) ছিল গুরুতর। পৃথুলার ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাথায় ভোঁতা কিছুর আঘাতের কথা লেখা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি মরদেহে প্রচুর ময়লা ছিল, ছিল কালি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নেভানোর সময় আহত-নিহতদের ওপরে অনেক ময়লা পড়ে। এ কারণে অনেক দেহ শনাক্ত করতে সমস্যা হয়েছে।’

পৃথুলা রশিদ মর্গে পৃথুলাকে সরাসরি দেখতে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রথমে সিসিটিভির মাধ্যমে ভালোভাবে মুখ দেখানো হয়। তাতেই আমি পৃথুলাকে চিনতে পারি। আমাদের দেশের মন্ত্রী, নেপালের ডাক্তার, নার্সসহ সবাই আমাকে বলেছেন, সবার চেয়ে পৃথুলার মরদেহটাই ভালো ছিল। একটুও বিকৃত হয়নি।’

পৃথুলাকে আগারগাঁওয়ের তালতলা সরকারি কবরস্থানে তার দাদা, দাদি ও ফুপুর কবরের পাশে দাফনের কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। কেন এই পরিবর্তন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পৃথুলাকে দাফন করলে ২৫ বছর কবর সংরক্ষিত থাকবে, সরকারিভাবে পাওয়া এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি।’

আরও পড়ুন: শেষ দিন পৃথুলার সঙ্গে যাননি বাবা

এর আগে, নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের লাশ জানাজা শেষে সোমবার বিকালে আর্মি স্টেডিয়ামে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশগুলো জানাজা ও আনুষ্ঠানিকতার জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার (১২ মার্চ) চার ক্রু ও ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় এতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে সেটি বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ২৬ জন।

/এইচএইচ/এমও/
সম্পর্কিত
ইউএস বাংলার সার্ভিসের মান মনিটরিং করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি
‘তারা কীভাবে জানলো পাইলট ধূমপান করছিলেন’
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের দেরিতে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ
সর্বশেষ খবর
১০ ও ১১ মে রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি
১০ ও ১১ মে রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি
এক থানা থেকে দুই এসআই তিন এএসআই ও এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার
এক থানা থেকে দুই এসআই তিন এএসআই ও এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
করুণ ব্যাটিংয়ে আবার বাংলাদেশের বড় হার
চতুর্থ নারী টি-টোয়েন্টিকরুণ ব্যাটিংয়ে আবার বাংলাদেশের বড় হার
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া