X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

‘কোটা নিয়ে ৩ দিনের মধ্যেই কমিটি’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৯ মে ২০১৮, ১৮:২৮আপডেট : ০৯ মে ২০১৮, ১৯:৩৫

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কোটা সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে অবশেষে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাকে সদস্য করে তিন দিনের মধ্যেই একটি কমিটি গঠন করবে সরকার। এই কমিটির সুপারিশের পর প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোটা নিয়ে যে কমিটি গঠনের কথা বলেছিলেন, সেই কমিটি দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই গঠন করা হবে। কমিটির প্রধান হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটি যে সিদ্ধান্তে দেবে, সেই অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে।’

কম সময়ের মধ্যেই কমিটি সুপারিশ করবে বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১০ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে হলে রবিবার (১৩ মে) থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বুধবার (৯ মে) মানববন্ধন শেষে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীদের এই ঘোষণা অনুযায়ী চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগেই সরকারের পক্ষ থেকে কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলো। এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তার কাছে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশনা নেই। মন্ত্রিসভার বৈঠকের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘কোটা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি এবং কোনও অগ্রগতিও নেই। আগে যে অবস্থায় ছিল, তাই আছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এই বক্তব্যের পর বুধবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরা সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি ঘোষণার পর বুধবার বিকালে জনপ্রশাসন সচিব বাংলা ট্রিবিউনকে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানান।

উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৯৭২ সালে কোটা চালু করেছিলেন উপহার হিসেবে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এই কোটা প্রথা বাতিল করা হয়। পরবর্তী ২৪ বছর মুক্তিযোদ্ধাদের এই কোটা দেওয়া হয়নি। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য আবারও কোটা চালু করেন। এছাড়া, সমাজের পিছিয়ে পড়াদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু আছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলাওয়ারি কোটা নির্ধারণ করা হয়।

দীর্ঘদিন কোটা সংস্কার না করায় মেধাবী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা সংস্কারে বিভিন্ন সময় দাবি তুলে ধরেন। পরে দফায় দফায় আন্দোলন কর্মসূচি চারিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।  আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা তুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

 

 

/এসএমএ/ এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ যুবকের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ যুবকের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
এবার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে সরব কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
এবার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে সরব কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
প্রত্যেক বস্তা থেকে সরানো হয় চাল, ডিলারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা
প্রত্যেক বস্তা থেকে সরানো হয় চাল, ডিলারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি