X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের পানি সরবরাহ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: পরিবেশমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৫৪আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২৩:৫১

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে পানি সরবরাহ করাটাই সামনের দিনগুলিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি জানান,ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর গত এক বছরেও ১০০ মিটারেরও বেশি নিচে নেমে গেছে এবং আগামী এক  বছরে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি চিন্তার বিষয়।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইউএনডিপির ‘রোহিঙ্গা ঢলের পরিবেশগত প্রভাব’ শীর্ষক  প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ভূ-উপরিভাগে যে পানি রয়েছে তা কক্সবাজারের জন্য পর্যাপ্ত নয়। কারণ,নাফ নদী জেলাটির একদিকে অবস্থিত। আবার অন্যদিকে,ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। তারপরও ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য পানি সরবরাহ করা সহজ বিষয় নয় বলে তিনি জানান।

রোহিঙ্গাদের পানি সংকট সমাধানে গত এক বছরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য ৬ হাজার ৫০০টি অগভীর নলকূপ এবং ১৫০ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এসময় রোহিঙ্গাদের জ্বালানি সমস্যা সমাধানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বায়োপ্লান্ট করার একটি প্রকল্প নেওয়া যায় কি না সে বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি’র রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী।

তবে এই প্রতিবেদনের তথ্যগুলো হালনাগাদ করে ইউএনডিপিকে আরও বৃহৎ পরিসরে একটি পরিকল্পনা দেওয়ার আহ্বান জানান পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী। 

তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনের উপাত্তগুলো গত অক্টোবর ও নভেম্বরে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং প্রতিবেদনটি প্রায় এক বছর পরে প্রকাশ করা হয়েছে।

বর্তমান অবস্থার প্রতিফলন এই প্রতিবেদনে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহের পরে অনেক ঘটনা ঘটেছে। রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে এর থেকে প্রকৃত ক্ষতি অনেক গুণ বেশি। 

এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১ হাজার ৫০২ হেক্টর বনভূমির ওপরে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ৬ হাজার হেক্টরের বেশি বনভূমির ওপরে তারা বসতি করেছে। তাই প্রকৃত ক্ষতি অনেক বেশি।

 

/এসএসজেড/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এক থানা থেকে দুই এসআই তিন এএসআই ও এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার
এক থানা থেকে দুই এসআই তিন এএসআই ও এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
করুণ ব্যাটিংয়ে আবার বাংলাদেশের বড় হার
চতুর্থ নারী টি-টোয়েন্টিকরুণ ব্যাটিংয়ে আবার বাংলাদেশের বড় হার
৬০ শতাংশ গাড়িচালক বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রতিবেদন৬০ শতাংশ গাড়িচালক বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া