বজ্রমেঘের সৃষ্টির কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দর, সব উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এই মেঘের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বেশিরভাগ স্থানে বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আজ মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে আজ সকালে ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। রাতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের ভেতরে পড়ে সাতক্ষীরায় এক বৃদ্ধ নিহত, বাগেরহাটে ঝড়ে গাছচাপা পড়ে নারী-শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছে। মোংলায় পশুর চ্যানেলে ডুবে গেছে একটি ড্রেজার। অন্যদিকে, ব্যাপক বৃষ্টিপাতে খুলনা শহর প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সব সমুদ্রবন্দর এবং উপকূলীয় জেলাগুলোর জন্য তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। এ কারণে বায়ুমণ্ডল অস্থির হয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হচ্ছে বজ্রমেঘ। এই মেঘের কারণে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হচ্ছে। বজ্রপাতের কারণে উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়াসহ ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। তাই এই সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক বার্তায় বলা হয়, বজ্রমেঘের ঘনঘটা বাড়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এই মেঘের প্রভাবে গত সোমবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত অনেক এলাকায় বৃষ্টি হয়। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বৃষ্টি না থাকলেও সোমবার দিনগত রাতে আবার শুরু হয় বৃষ্টি । মঙ্গলবার সকালেও সেই বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। সকালে ঢাকায় বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেলেও যশোরসহ চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে এই বৃষ্টির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল। সকাল ছয়টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস জানায়, সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে যশোরে ৫৫ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ৩১, ময়মনসিংহে ৩, হাতিয়ায় ৩৫, খুলনায় ১৩, বরিশালে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আর সন্ধ্যায় ৬টা পযন্ত আবহাওয়া অধিদফতরের রেকর্ড অনুযায়ী, সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে খুলনায় ৭৫ মিলিমিটার, আর যশোরে বৃষ্টির পরিমাণ ৭১ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিলিমিটার।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাতক্ষীরায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে জামশেদ আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। আজ দুপুরে চন্দনপুর কলারোয়া সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে। জামশেদ আলী কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, জামশেদ আলী কলারোয়ার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আঘাতে পথে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বয়স্ক মানুষ ঝড়ের মধ্যে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেননি। তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
এদিকে ঝড়ের আঘাতে কলারোয়ার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় সব কয়টি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে গেছে বড় বড় গাছ। ভেঙে গেছে বাড়িঘর। উড়ে গেছে ঘরের চাল। ঝড়ের পরপরই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে অসহনীয় দুর্ভোগ।
উপজেলার তুলসীডাঙ্গা থেকে আবুল বাসার নামে এক ব্যবসায়ী জানান, স্থানীয় গোগ মন্দিরের সামনের দুইশ' বছরের প্রাচীন কালের সাক্ষী বটবৃক্ষটি টর্নেডোর ছোবলে উপড়ে গেছে।
কয়লা এলাকা থেকে রাণী ব্রিকসের মালিক কামরুল ইসলাম সাজু জানান, ইটভাটার কাঁচা ইটের একটিও আস্ত নেই। সব ইট গলে গেছে।
বাগেরহাটে গাছচাপা পড়ে আহত ৫
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বর্ষণ, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা-পাকা প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়ে ও ভেঙে গেছে অসংখ্য গাছপালা। এসময় গাছ ও ঘর চাপায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় জেলার চারটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় এই ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
বাগেরহাট পৌরসভার হাড়িখালি, সদর উপজেলার খানপুর, ষাটগম্বুজ, কাড়াপাড়া, ডেমা, বেমরতা ও রাখালগাছি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে অন্তত শতাধিক কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দীন বলেন, প্রবল বর্ষণ ও শিলা বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়ে দক্ষিণ ও উত্তর খানপুর গ্রামের অন্তত ৩০ কাঁচাপাকা বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘর ও গাছ চাপা পড়ে শিশু নারীসহ পাঁচজন হয়েছেন। তাদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝড়ে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা পড়ে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. নাজমুল হাসান দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের বেশকিছু খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বাগেরহাট সদর, কচুয়া, ফকিরহাট ও রূপসা উপজেলায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মোংলায় পশুর চ্যানেলে ডুবেছে ড্রেজার
মোংলা প্রতিনিধি জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে একটি দেশীয় ড্রেজার ডুবে গেছে। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পশুর নদীর বিদ্যারবাহন খেয়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় থাকা বাদল আনলোডিং নামক ড্রেজারটি প্রচণ্ড ঝড়ে কাত হয়ে গেলে ভেতরে পানি ঢুকে ডুবে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ড্রেজার মালিক মো. মাসুম।
তিনি দাবি করেন, ড্রেজার ডুবিতে তার প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ভোরে ডুবে যাওয়া ড্রেজারটি উদ্ধারে কোনও তৎপরতা শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি মেম্বর বিশ্বজিৎ রায়। ড্রেজারটি পশুর নদীর কুলের দিকে ডোবায় মুল চ্যানেল দিয়ে নৌ চলাচল ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার দুরুল হুদা।
বৃষ্টিতে খুলনা শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনা প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার দিনভর থেমে বজ্রসহ বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। অনেক স্থানে হয়েছে শিলা বৃষ্টিও। ভোর থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। সকাল ৯টার দিকে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি। এ বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য উপকারী হলেও ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টিতে মহানগরীর রাস্তায় হাঁটু পানি জমে গেছে। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলও থমকে যায়। নগরীর রয়্যালের মোড়, শামসুর রহমান রোড, পিটিআই মোড়, শান্তিধাম মোড় এলাকা পানিতে সয়লাব হয়।
সরকারি চাকরীজীবী ওয়েজুল হক বলেন, সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টিতে প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছে খুলনা মহানগরীবাসী। রেলগেট পর্যন্ত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ছোট বড় গর্তে পানি জমে চলাফেরায় ভোগান্তি হচ্ছে। শিল্প এলাকার মানুষ বছরের শুরুর বৃষ্টিতে আটকা পড়েছে।
হেলাল হোসেন বলেন, পানির কারণে ভোগান্তিতে শহরবাসী। খুঁড়ে রাখা গর্ত পানিতে ডুবে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
নাসির হোসেন বলেন, খোলা নর্দমার কারণে রাস্তার নোংরা পানি পার হয়ে অফিসে যেতে হয়েছে। এ সুযোগে যানবাহনে ভাড়াও বেড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খুলনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি মজুমদার জানান, এ বৃষ্টিতে বোরো ধানের উপকার হবে। তবে শিল পড়ার কারণে আমের মুকুলের ক্ষতি হতে পারে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড় আসবে এমন প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৫৬ কিলোমিটার। হালকা শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলছে কম
মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কখনও হালকা ও কখনও ভারী বর্ষণ, আবার কখনও ঝড় হওয়ার কারণে পদ্মা নদীর ঢেউ উত্তাল হওয়ায় সকাল থেকেই স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ছিল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া লঞ্চ চলাচল ছিল সীমিত আকারে।পদ্মার উত্তাল ঢেউ উপেক্ষা করে ফেরি চলাচল ছিল তুলনামূলকভাবে কম। ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকলেও ফেরিগুলো অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে চলাচল করছে। তবে ফেরি চলাচল সীমিত থাকায় ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব জেলার আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। সিলেট ও মংমনসিংহে রাতে সামান্য বৃষ্টি হলেও এখন আবহাওয়া শুষ্ক রয়েছে।
সেন্টমাটিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, একদিন বন্ধ থাকার পর টেকনাফ-সেন্টমাটিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতিতে ৬টি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্টমাটিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় । জাহাজগুলো ফেরার সময় দ্বীপে আটকাপড়া আড়াই হাজার পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার খুব সকালে আবহাওয়া একটু খারাপ থাকলেও পরে স্বাভাবিক হওয়ায় সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র মতে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সোমবার টেকনাফ থেকে কোনও পর্যটকবাহী জাহাজ ছাড়তে দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। এতে দ্বীপে বেড়াতে আসা সাড়ে তিন হাজার পর্যটক টেকনাফে আটকা পড়ে। অন্যদিকে দ্বীপে কোনও জাহাজ না যাওয়ায় সেখানে আটকা পড়ে আড়াই হাজার পর্যটক। তবে মঙ্গলবার আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় ৬টি পর্যটকবাহী জাহাজ দ্বীপে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়। এতে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে এমভি গ্রিনলাইন-১, এমভি আটলান্টিক ক্রুজ, বে-ক্রুজ, কেয়ারি ক্রুজ, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এলসিটি কাজল পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিনে রওনা হয়।
