এ বছর ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধানের বাজার মূল্যের বিষয়ে সরকারের নেওয়া কার্যক্রম জানাতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সুগন্ধি চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এই প্রথম সব ধরনের চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকার ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ঠিক রেখে চাল রফতানি করা হবে। যদিও এটি সহজ কাজ নয়। ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। চালের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫-৩০ শতাংশ প্রণোদনা দেবে সরকার। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান কেনা হবে। চালের আমদানি শুল্ক ২৮ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ ভাগ আরোপ করা হয়েছে। তাই চাল আমদানি হবে না বলে আশা করি। চাল আমদানি নিরুৎসাহিত এবং চাল রফতানিকে উৎসাহিত করা হবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের ক্রয়মূল্য অগ্রিম নির্ধারণ করে মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করা হবে। ২০১৭ সালে চাল আমদানির শুল্ক রেয়াতের কারণে চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি, তার বড় একটি অংশ মজুত এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর ধানের দাম কমে গেছে। কৃষিকে আরও যান্ত্রিকীকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।