X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যারিস্টার রফিক উল হকের অবদান অনস্বীকার্য

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ অক্টোবর ২০২০, ১০:০৭আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২০, ১০:০৭

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন



আইনের শাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যারিস্টার রফিক উল হকের অবদান অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ব্যারিস্টার রফিক উল হকের মৃত্যুতে শনিবার (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।

শোকবার্তায় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ব্যারিস্টার রফিক উল হক ছিলেন প্রথিতযশা আইনজীবী। অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয় নিয়ে তিনি আদালতকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যারিস্টার রফিক উল হক একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। আইনের শাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অনস্বীকার্য।’ 

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক উল হকের  মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ব্যারিস্টার রফিক উল হককে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ২০ অক্টোবর রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়।

শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের সময় আদ-দ্বীন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার রফিক উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাশ করেন।  ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার অ্যাট ল সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। 

বর্ণাঢ্য  জীবনে আইন পেশায় দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর পার করেছেন তিনি।  বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আইনি লড়াই করেন তিনি। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার রফিক উল হক। দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয় নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। 

১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রফিক উল হক। এসময়ে তিনি কোনও সম্মানী নেননি। পেশাগত জীবনে তিনি কখনও কোনও রাজনৈতিক দল করেননি। তবে নানা সময়ে রাজনীতিবিদরা সবসময় তাকে পাশে পেয়েছেন। রাজনীতিবিদদের সম্মান সবসময়ই অর্জন করেছেন তিনি। ব্যারিস্টার রফিক উল হক তার জীবনের উপার্জিত অর্থের প্রায় সবই ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণ ও সমাজসেবায়। 

আরও পড়ুন:

ব্যারিস্টার রফিক উল হক আর নেই


 

/বিআই/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
ব্রিটিশ নিশানায় হামলার হুমকি রাশিয়ার
ব্রিটিশ নিশানায় হামলার হুমকি রাশিয়ার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ
হার চোখ রাঙালেও সিরিজ জিতলো বাংলাদেশই
হার চোখ রাঙালেও সিরিজ জিতলো বাংলাদেশই
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
ছাত্রলীগ সহসভাপতি সাদ্দামের বছরে আয় ২২ লাখ, ব্যাংকে ৩২ লাখ, উপহারের স্বর্ণ ৩০ ভরি
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচনছাত্রলীগ সহসভাপতি সাদ্দামের বছরে আয় ২২ লাখ, ব্যাংকে ৩২ লাখ, উপহারের স্বর্ণ ৩০ ভরি
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা