X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারকারীদের তথ্য সরকার চাইলেই পেতে পারে

শেখ শাহরিয়ার জামান
২৭ নভেম্বর ২০২০, ০২:১২আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৪৮

মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারকারীদের তথ্য সরকার চাইলেই পেতে পারে প্রতিনিয়তই বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলে। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের অর্থ পাচারকারীদের নিয়ে করা মন্তব্য সেই আলোচনা আরও উসকে দিয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, কানাডা, মালোয়েশিয়া অর্থ পাচারকারীদের প্রসঙ্গে তথ্য দিতে আগ্রহী নয়। অনেক দেশই এমন অর্থ পাচারকারীদের তথ্য সরকারকে দিতে আগ্রহী নয়। কিন্তু মালয়েশিয়ায় যারা অর্থ পাচার করছেন সে তথ্য সরকার চাইলেই পেতে পারে।

২০০২ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় ‘মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ)’ সুবিধা নিয়েছেন। এমএম২এইচ-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী যারা এই সুবিধার আওতায় মালয়েশিয়ায় যান তাদের ভিসা ক্যাটাগরি এমএম২এইচ। তাদের পাসপোর্টের ভিসার পাতাতেই বলা থাকে ওই ব্যক্তি কী উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। এই ভিসার মেয়াদ ১০ বছর এবং এই মেয়াদে যতবার ইচ্ছে তিনি মালয়েশিয়ায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন।

বাংলাদেশ বিমানবন্দরে যখন কোনও বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পার হন তখন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তার মালয়েশিয়ার ভিসা পেজ পরীক্ষা করলেই বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।

মালয়েশিয়ায় ‘মাই সেকেন্ড হোম’ সুবিধার অধীনে যারা পঞ্চাশোর্ধ্ব তাদের সর্বনিম্ন ৪০ হাজার ডলার ও পঞ্চাশের নিচে যারা তাদেরকে ৮০ হাজার ডলার জমা দিতে হয় মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত চার হাজার বাংলাদেশি এই সুবিধা নিয়ে থাকলে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ১,৪০০ কোটি টাকা মালয়েশিয়ায় পাচার হয়েছে (জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৪০ হাজার ডলার ধরে)।

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তথ্য চাইলে পাওয়া সম্ভব কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে চাইতে হবে।

বাংলাদেশ ও পাচারকারী যেসব দেশের নাম উল্লেখ করা হয় সবাই জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের সদস্য। এছাড়া তথ্য চাওয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিয়ম রয়েছে। জাতিসংঘ কনভেনশনের অধীনে চুক্তি করে তথ্য পাওয়া সম্ভব।

মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারকারীদের তথ্য সরকার চাইলেই পেতে পারে ২০০৮ সালে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘একজনের ক্ষেত্রে যেটি করা হয়েছে সেটি অন্যজনের ক্ষেত্রেও যে করা সম্ভব হবে বলে বোঝা যাচ্ছে। ফলে শুধু তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা ও পাচারকারীদের দায়বদ্ধ করা সম্ভব।’

এ বিষয়ে সাবেক একজন কুটনীতিক বলেন, সরকার চাইলেই কে পাচার করছে সেই তথ্য পেতে পারে কিন্তু এর জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। অর্থ পাচারের বিষয়টি সুশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের সর্ব্বোচ্চ মহল থেকে একদম নিচে যারা রয়েছে সবাই বিদেশি বিনিয়োগ সংগ্রহের কথা বলে থাকেন কিন্তু আমাদের দেশ থেকেই বিদেশে অর্থ চলে যাচ্ছে। এর ফলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি অর্থ পাচারের কারণে অভ্যন্তরীণ সম্পদ কমে যায় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য বিদেশ থেকে ঋণ করতে হয় যা অত্যাধিক ব্যয়বহুলও  মালোয়েশিয়ায় মাই সেকেন্ড হোম ক্যাটাগরিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা

/এফএ/এফএএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ
শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ
টানা দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ
টানা দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ
রুশ বোমারু বিমান ভূপাতিতের দাবি ইউক্রেনের
রুশ বোমারু বিমান ভূপাতিতের দাবি ইউক্রেনের
মেলায় এসেছেন চিত্রনায়িকা, দেখতে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী নিহত
মেলায় এসেছেন চিত্রনায়িকা, দেখতে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি