X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

ঢাকা-দিল্লি আলোচনায় থাকবে তিস্তা, ছয় নদী ও রহিমপুর খাল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৯ মার্চ ২০২১, ০১:১৫আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২১, ০১:১৫

বাংলাদেশ ও ভারতের পানি সম্পদ সচিব তিস্তা ও অন্য ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, রহিমপুর খাল, অববাহিকা-ভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসছে। কবির বিন আনোয়ার ও পঙ্কজ কুমারের মধ্যে বৈঠকটি আগামী ১৬ মার্চ (মঙ্গলবার) দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। এই মাসের শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের আগে এই বৈঠকে কিছু বিষয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চেষ্টা করবে দুই দেশ।

সোমবার (৮ মার্চ) এই বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমরা সব বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি কিন্তু পানি বাদে অন্য সব বিষয়গুলোতে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আশা করবো নরেন্দ্র মোদির সফরকে রাজনৈতিকভাবে সফল করার জন্য দিল্লি পদক্ষেপ নিবে।’

২০১৯ এর আগস্টে দুই সচিবের মধ্যে শেষ বৈঠক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে দুই দেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। যা আশাব্যঞ্জক নয়। আমরা চাই দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শিগগিরই অনুষ্ঠিত হোক।’

সম্ভাব্য আলোচনার বিষয় নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১১ সালে পানি সম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের শেষ বৈঠকে তিস্তা চুক্তি সই এর বিষয়ে একমত হয় দুই দেশ কিন্তু এখন পর্যন্ত ভারত চুক্তিটি সম্পন্ন করতে পারেনি। আমরা এটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তাদেরকে আবারও বলবো।’

মনু, ধরলা, গোমতি, খোয়াই, দুধকুমার ও মুহুরি নদীর পানি বন্টনের জন্য আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত জানুয়ারি মাসে দুই দেশের কারিগরি পর্যায়ে আরও তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে খসড়া চুক্তি বিনিময় হবে বলে আমরা আশা করি।

সিলেটের কুশিয়ারা নদীর পানি পাঁচ হাজার একর জমির সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য রহিমপুর খাল খনন কাজে আপত্তি করছে ভারত। এই বিষয়ে জানুয়ারি মাসের কারিগরি বৈঠকে দুপক্ষ দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে একমত হলেও ভারত এখন পর্যন্ত কোনও উত্তর জানায়নি।

এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ছোট এই খালটি খনন না করতে পারার কারণে পাঁচ হাজার একর জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আবারও তাগাদা দেবো।’

তিনি জানান, মহানন্দা নদীর পানি একতরফাভাবে ভারত প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের দিকের মহানন্দায় পানি প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে এবং এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চায় সরকার।

প্রতিটি নদীর একটি নিজস্ব জীবন আছে বলে দুই দেশের সরকার স্বীকার করে এবং প্রতিটি নদীকে বাঁচানোর জন্য অববাহিকা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দুই সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়ে দুই দেশ আলোচনা করতে পারে বলে তিনি জানান।

/এসএসজেড/এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশের মেয়েদের গোলের মালা পরালো জাপান
বাংলাদেশের মেয়েদের গোলের মালা পরালো জাপান
অমিতাভ বচ্চনের দেয়ালে ঝুলছে জয়া আহসানের ট্রেলার!
অমিতাভ বচ্চনের দেয়ালে ঝুলছে জয়া আহসানের ট্রেলার!
যুবদল নেতার ওপর হামলা: চিলমারী বিএন‌পির দুই নেতা‌কে অব‌্যাহ‌তি
যুবদল নেতার ওপর হামলা: চিলমারী বিএন‌পির দুই নেতা‌কে অব‌্যাহ‌তি
সমস্যা মানেই অসুখ নয়: মেডিক্যালাইজেশন কি বাংলাদেশের নতুন ব্যাধি?
সমস্যা মানেই অসুখ নয়: মেডিক্যালাইজেশন কি বাংলাদেশের নতুন ব্যাধি?
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল