X
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
২৯ বৈশাখ ১৪৩২

নিরাপদ পানি সরবরাহের কাভারেজ বাড়াতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

শফিকুল ইসলাম
২২ মার্চ ২০২২, ২২:৫০আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ১৫:৩৫

সরকার দেশের উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহের কাভারেজ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বৃষ্টির পানি সরবরাহের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকাবাসীর জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের কাভারেজ ২০৩০ সাল নাগাদ ৬০ শতাংশের ওপরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, এ লক্ষ্যে ‘উপকূলীয় জেলাসমূহে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় অধীনস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই) দেশের উপকূলীয় ১০টি জেলার ৪৪টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। 

সূত্র জানায়, সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া ৯৬১ কোটি ৭৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর মেয়াদে শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে।

এদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে এলাকাবাসীকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা এবং প্রকল্পাধীন এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহের কাভারেজ ২০৩০ সাল নাগাদ ৬০ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যেই প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে সরকার।  প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ৬ হাজার ৮৭২টি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ইউনিট এবং ২০ হাজার ৬৭৬টি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ সিস্টেমের ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্মাণ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পটি চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের আরএডিপিতে (সংশোধিত) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

জানা গেছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সবার জন্য টেকসই নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলীয় ১০টি জেলার ৪৪টি উপজেলার ২২২টি ইউনিয়নে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা এলাকাবাসীকে সরবরাহ করা হবে। ফলে লবণাক্ততা ও আর্সেনিকপ্রবণ এলাকায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার অনেকাংশে উন্নতি ঘটবে বিধায় প্রকল্পটি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সংগতিপূর্ণ।

একনেকে উপস্থাপনের আগে পরিকল্পনা কমিশন তাদের মতামতে বলেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ কাভারেজ বাড়ানো সম্ভব হবে। এ কারণেই স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘উপকূলীয় জেলাসমূহে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ’শীর্ষক প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপকূলীয় সাধারণ মানুষ আর্সেনিকের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাবে।  একই সঙ্গে  ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি’ সরবরাহ নিশ্চিত করার সরকারের টার্গেট পূরণে সহায়ক হবে।

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অতিরিক্ত ঘাম কমাতে এই ১১ টিপস মেনে চলুন
অতিরিক্ত ঘাম কমাতে এই ১১ টিপস মেনে চলুন
এক মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টাএক মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস
একাত্তরে গণহত্যায় সহযোগিতায় অভিযুক্তদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যার আহ্বান এনসিপি’র
একাত্তরে গণহত্যায় সহযোগিতায় অভিযুক্তদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যার আহ্বান এনসিপি’র
আসন্ন বাজেটে নতুন কী থাকছে
আসন্ন বাজেটে নতুন কী থাকছে
সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
বেসরকারি ব্যাংক সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে, অধ্যাদেশ জারি
বেসরকারি ব্যাংক সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে, অধ্যাদেশ জারি
মহাসড়কের পাশে দুই যুবকের লাশ, একজনের গলাকাটা অপরজনের চোখ উপড়ানো
মহাসড়কের পাশে দুই যুবকের লাশ, একজনের গলাকাটা অপরজনের চোখ উপড়ানো
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যে আইনি ব্যাখ্যা দিলেন ব্যারিস্টার কাজল
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যে আইনি ব্যাখ্যা দিলেন ব্যারিস্টার কাজল