X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের রাজনীতি-নির্বাচন ব্যবস্থা পচে গেছে: সিইসি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ জুলাই ২০২২, ২১:১১আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২২, ২১:৫৬

কেবল নির্বাচন ব্যবস্থা নয়, দেশের রাজনীতি, নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক কিছুই কিন্তু পচে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘খুব সাহস নিয়ে এই কথাটি বলছি—অনেক কিছুই কিন্তু পচে গেছে।’

সোমবার (১৮ জুলাই) বিকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপের সময় সিইসি এ মন্তব্য করেন। বিকাল ৪টা থেকে দেড়ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলটির সঙ্গে ইসির বৈঠক হয়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সংলাপে নেতৃত্ব দেন।

বাংলাদেশের তুলনায় অন্য দেশের নির্বাচন করাটা সহজ ‍উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আজকে আপনি আমাকে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন কমিশনার করে দেন। বিলেতের নির্বাচন কমিশনার করে দেন। দেখতে পারবেন কত সহজে নির্বাচনটা করে ফেলতে পারবো। কিন্তু এখানে নির্বাচন করা অনেক কঠিন কাজ। এটা হচ্ছে আমাদের রাজনীতি। অর্থশক্তির কথা বলা হচ্ছে, অর্থশক্তিকে আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো। আমি জানি, ১২ কোটি টাকা ১৫ কোটি টাকা নিয়ে আপনারা…।’ সিইসি তার বক্তব্যকালে এই বাক্যটি শেষ করার আগে অন্য একজন কমিশনার তাকে থামিয়ে দেন। পরে তিনি অন্য প্রসঙ্গে চলে যান।

তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানোর ব্যাখ্যা

কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে প্রতিপক্ষকে রাইফেল নিয়ে দাঁড়াতে সিইসির আগের দিনের পরামর্শের সমালোচনা করে সাইফুল হক বলেন, ‘এটা কি অস্ত্রবাজি বা মল্লযুদ্ধের জায়গা? নিশ্চয়ই সেই জায়গা নয়।’ জবাবে সিইসি জানান, তিনি মন থেকে ওই বক্তব্য দেননি। আলোচনার প্রসঙ্গক্রমে তিনি কৌতুক করে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকে কথাটি বলেছেন।

তলোয়ার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আজকে যে অবস্থা…। আজকে যদি বিদায় হতে পারতাম ভালো লাগতো। পেপারে সব জিনিসগুলোকে…। পেপার এটা করবে। আমি মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। উনিও বেশি হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তি ববি হাজ্জাজ। উনি প্রসঙ্গক্রমে অস্ত্রের কথা...। এরকম অস্ত্র নিয়ে এলে তো...। তখন আমি বললাম, আপনিও এ রকম একটি নিয়ে দাঁড়াবেন। ওরা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে আপনি বন্দুক নিয়ে দাঁড়াবেন। এটা কি কখনও মিন করা হয়! একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এতটুকু জ্ঞান নেই? এই কথাটি সত্য হলে আমি তো আর্মস অ্যাক্টে লায়াবল। পুলিশ আমাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাবে। বুঝতে হবে এটা অন্তর থেকে বলা হয়েছে না কৌতুক করে বলা হয়েছে। দেশের পেপারগুলোতে প্রধান খবর। একটা মানুষকে নামিয়ে দেওয়া। এরপর তো আর কাজ করার মনোবলও থাকে না। ইচ্ছেও করে না।

ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছি

গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা হচ্ছে, এমনটি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আজকে তো আমি ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছি। যখনই আমার ছবি দেখি, বুঝতে পারি—বাপ-দাদাসহ গালিগালাজ শুরু হবে। এজন্য দেখি না। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য ভিডিও স্ক্রিনের ভয়েস বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ হচ্ছে, প্রতিমুহূর্তে এমনভাবে বলা হচ্ছে—মাজা ভেঙে গেছে। এটা ভেঙে গেছে। গণমাধ্যমকে আমরা কিন্তু খুব সাপোর্ট দেই। তাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই, সবকিছু গণমাধ্যমে যাক। খুব কিছু প্রাপ্তির আসায় নির্বাচন কমিশনে আসিনি। আমরা খুই চেষ্টা করছি। আমাদের অনেক পরিশ্রম ভণ্ডুল হয়ে যায়। আবার কিছু কাজে লাগে। কিছু লাগে না। কিন্তু পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’ 

বাহারকে এলাকা ত্যাগের চিঠি ছিল হঠকারী

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচন কমিশন নোটিশ দিয়েও সরাতে না পারার বিষয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অভিযোগের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বারবার বলা হচ্ছে, কুমিল্লার এমপিকে আমরা বের করতে পারলাম না। ওখান থেকে বারবার মেসেজ আসছে বাহার সাহেব খুব ডিস্টার্ব করছেন। তখন তাড়াহুড়া করে যখন অর্ডার করা যে তাকে তার এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দাও। তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত হলে অনেক সময় খুব হঠকারী বা ভুল সিদ্ধান্ত হয়। পরে যখন বারবার সমালোচনা হচ্ছে, আমি আইনটি পড়ে দেখলাম যে কোনোভাবে কোনও এমপিকে তার ঠিকানা থেকে, শুধু এমপি নয়, চোর-ডাকাতকেও তার ঠিকানা থেকে বহিষ্কার করার অধিকার নির্বাচন কমিশনের নাই। হয়তো পুলিশ গ্রেফতার করে আনতে পারে, সেটা ভিন্ন বিষয়।’

গণমাধ্যমের খবরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আর বের করতে পারলাম না বলে সমালোচনা হলো— মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। মাজা ভেঙে গেছে। হাঁড় ভেঙে গেছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা তাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করেছি। এটা বেআইনি হয়নি। উনি অনুরোধ রক্ষা করতে পারেন, আবার নাও করতে পারেন। উনি অনুরোধ রক্ষা করে চলে আসলে অনেকে খুশি হতেন। কিন্তু জোর করে বের করার কোনও অধিকার কোনও আইনে আমাদের দেওয়া হয়নি।’

সংখ্যানুপাতিক ভোটের পক্ষে সিইসি

আমি অনেক আগে থেকেই অনেককে বলছি, এটা নিয়ে একটু লেখেন। কেউ লেখেন। কেউ লেখেন না। শাহদীন মালিক একটু লিখেছিলেন। কিছুটা বুঝে। আবার কিছুটা না বুঝে। ড. তোফায়েল সাহেব লিখলেন। উনি খুব সুস্পষ্ট ভাষায় লিখলেন। আমি অনেককে ফোন করে জানার চেষ্টা করলাম, ক্ষতি কী? আমি তো কোনও ক্ষতি দেখি না। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব হলে তো প্রত্যেক দল নির্বাচনে দাঁড়াবে তাদের প্রতীক নিয়ে। কোনও দল ৫০ শতাংশ ভোট পেলে সে ১৫০টি আসন নিয়ে ফেলবে। অন্যরা একটি দল ২০ শতাংশ ভোট পেলে ৬০টি আসন নেবে। কেউ ৫ শতাংশ পেলে ১৫টি আসন পাবে। আমি তো এই সিস্টেমে কোনও ত্রুটি দেখি না। এটা হলে আমাদের পরিশ্রম অন্তত ৫০ শতাংশ কমে যেত। পেশিশক্তি অস্ত্রের শক্তির প্রভাব কমে যেত। এলাকায় মাস্তানি, পেশী ও অর্থশক্তি গড়ে ওঠে দখলের কারণে। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে এই বিষয়টি হবে না। এ ধরনের কিছু বেসিক সংস্কার ছাড়া…। রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক লেভেল থেকে এটা করতে হবে। আনুপাতিক ভোট কী—সেটা ভোটারদের বুঝাতে হবে। এজন্য আমাদের সাংবিধানিক সংস্কারের কথা চিন্তা করতে হবে। সংসদ গঠনের সংস্কারের বিষয় চিন্তা করতে হবে।’

পদত্যাগে প্রস্তুত

ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করবেন- সিইসির এমন ঘোষণার বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘আপনারা আগুনের মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছেন। সমাজটি দ্বিধাবিভক্ত। ২৩ সালের শেষ বা ২৪ সালের শুরুর নির্বাচনকে আমরা ব্যর্থ নির্বাচন হিসেবে দেখতে চাই না। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সরকারি দলের চাপ-হুমকি সামাল দিতে না পারলে মান-সম্মান নিয়ে আগেই আপনাদের পদত্যাগ করা উচিত।’

এ বিষয়ে প্রধান কমিশনার বলেন, ‘পদত্যাগ করতে দেরি হবে না। যখন বিএনপি বললো—আমাদের ওপর আস্থার কোনও প্রশ্ন আসে না। আমরা সুবিধাভোগী। এবং সরকার পরিবর্তন হবে নির্বাচনকালীন সরকার হবে। তখন নতুন করে…। আমাদের কথা হলো, এটা নিয়ে আমরা মোটেও আতঙ্কিত নই। বিএনপির ইচ্ছার পক্ষে-বিপক্ষে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। বিদ্যমান কাঠামোর অধীনে আমরা সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাবো। কিন্তু বিএনপি এসে… যখন কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট হবে, তখন আমাকে তো রিকোয়েস্ট করতে হবে না যে আপনি চলে যান। তার আগেই আমি চলে যেতে পারবো। অনেকে মনে করেন, এখানে প্রচণ্ড মধু আছে। কিন্তু আমি এখানে কোনও মধুর সাক্ষাৎ পাইনি। এসেছি কাজ করতে। তবে কতটুকু করতে পারবো, নিশ্চিত করে বলতে পারবো না।

ভুলে ওবায়দুল কাদেরকে স্যার সম্বোধন করেছিলাম

সাইফুল হক তার বক্তব্যে দলভেদে ইসির পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে এলে গেট দিয়ে ঢুকতেই পারে না। আওয়ামী লীগ, বিএনপির মতো দলগুলো এলে আপনারা প্রটোকল ভেঙে এগিয়ে যান গেট পর্যন্ত তাদের রিসিভ করার জন্য। এটা খুবই অশ্লীল সংস্কৃতি। এর থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। উনাদের আসতে কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগে না। অপরদিকে অধিকাংশ দল এক সপ্তাহ, ১৫ দিন অপেক্ষা করার পরও সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন না। বহু হাইকোর্ট এক্ষেত্রে দেখানো হয়।’

সিইসিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে আপনারা সরকারি দলকে যে আদর যত্ন আপ্যায়নটা করেন, তাদের ও তাদের শরিকদের যেভাবে রিসিভ করেন...। তার মানে আপনারাই একটি চূড়ান্ত অশালীন বৈষম্যের জায়গাটি এখানে তৈরি করেছেন। আগামীকাল থেকে কমিশনে এই সংস্কৃতি আমরা দেখতে চাই না। এটা আমাদের পরিষ্কার কথা। আওয়ামী লীগ আপনাদের কাছে যে বিহেভ পাবে, বাকি ৩৯টি দলও একই মর্যাদা ও গুরুত্ব পাবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’

জবাবে সিইসি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি দলবল নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আমার রুমে ঢুকতে পারেননি। পাশের রুমে বসিয়ে পরে এখানে আনা হয়েছিল। আমাদের কমিশনের কেউ গেটে গিয়ে উনাদের রিসিভ করেননি। আমাদের অফিসাররা ছিলেন। আমাদের কমিশনাররা কোনও মন্ত্রীকে রিসিভ করেন না। করে নাই। আমি ভুলে আগেই উনাকে ‘স্যার সম্বোধন’ করেছিলাম। এটা নিয়েও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছি। যেহেতু আগেই পরিচিত। সবসময়ে স্যার বলেছি। তারপর শিখলাম, না স্যার বলা যাবে না। উনি (কমিশনার মো. আলমগীরকে ইঙ্গিত করে) এ বিষয়ে আমাকে জ্ঞানদান করলেন।’’

এদিকে সিইসির সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে সাইফুল হক বলেন, ‘আগের কমিশনগুলোর তুলনায় আপনার সিইসি ভাষা শব্দচয়ন পরিশীলিত। তবে আপনি খুব চাপের মধ্যে আছেন কিনা জানি না। নানা ধরনের চাপের মধ্যে থাকলে অনেক সময় অসংলগ্ন ও বেফাঁস কথা অনেক সময় হয়তো বেরিয়ে পড়ে। হয়তো এসব কথা স্বাভাবিকভাবে আপনি বলতেন না।’ এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন এই বাম নেতা।

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিশ্চয়ই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কেন বলতে পারবে না দলীয় সরকারের চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার হলে আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন করাটা সহজ হয়। এই সাধারণ কথাটা আপনারা কেন বলতে পারবেন না।’

/ইএইচএস/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
লোকসভা নির্বাচন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
সর্বশেষ খবর
ব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
এনার্জি মাস্টার প্ল্যান সংশোধনের দাবিব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
তিন লাল কার্ডের ম্যাচ নিয়ে কে কী বললেন!
তিন লাল কার্ডের ম্যাচ নিয়ে কে কী বললেন!
প্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
লোকসভা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া