বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল শুধু বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন না, তিনি একজন সম্পূর্ণ মানুষ ছিলেন। একজন রাষ্ট্রনায়ক বা প্রধানমন্ত্রীর ছেলের মতো নয়, বরং একজন সাধারণ মানুষের মতো তার ব্যবহার ছিল।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ছিলেন শেখ কামালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
শেখ কামালের বিয়ের গল্প করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘তার বিয়ের সময়ে গায়ে হলুদ করবো। এখন যেটি গণভবন ওই সময়ে বঙ্গবন্ধু সেখানে অফিস করতেন। কামাল তখন আমাদেরকে বললো— ‘তোমরা এক বালতি রঙ রেডি রাখো এবং আব্বা যখন বের হবে, তখন তাঁর ওপর রঙ ঢেলে দেবে।’ আমাদের তো সাহস নাই। আমরা তখন বললাম— তুমিও আমাদের সঙ্গে আসো এবং তখন সে বললো— ‘ঠিক আছে, আমিও তোমাদের সঙ্গে যাবো।’ আমরা সবাই রঙ নিয়ে রেডি আছি এবং বঙ্গবন্ধু যখন বের হয়েছেন, তখন আমরা সবাই রঙ ঢেলে দিয়েছি। পরে পেছনে তাকিয়ে দেখি শেখ কামাল নেই।’’
শেখ কামালের আরেক বন্ধু ও সাংবাদিক এম শফিকুল করিম বলেন, ‘‘ঢাকা কলেজে আমরা একসঙ্গে পড়তাম। ১৯৬৮ সালে একদিন ক্লাসে এসে আমাকে শেখ কামাল বললো— ‘সামনে কলেজে নির্বাচন এবং আমাকে নির্বাচন করতে হবে।’ তখন ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব ছিল এবং পুরো প্যানেল জয়লাভ করেছিলাম।’’
তিনি বলেন, ‘তারপরে আমরা উভয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। শেখ কামাল একাধারে ছিলেন সেতার বাদক, নাট্য শিল্পী, খেলোয়ার, ক্রীড়া সংগঠক। বঙ্গবন্ধুর ছেলে হলেও তার ভেতরে কোনও অহংকার বোধ ছিলো না এবং তার পোশাকে বা আচরণে কোনও পরিবর্তন ছিল না।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য রাখেন।