X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

প্রোটোকল মেনেই দিল্লিতে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা

দিল্লি প্রতিনিধি 
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৫৬আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৪৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লি বিমানবন্দরে কেন ভারতের একজন প্রতিমন্ত্রী স্বাগত জানালেন, তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হলেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, প্রোটোকল অনুযায়ী একজন সফররত সরকারপ্রধানকে যে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার কথা, সেটাই কিন্তু শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে শেখ হাসিনার আগের বারের দিল্লি সফরেও (অক্টোবর ২০১৯) বিমানবন্দরে যাননি, সেটাও তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। 

‘ফলে এমন নয় যে এবারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনায় কোনও ত্রুটি হয়েছে বা প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে না গিয়ে অতিথিকে কোনও অমর্যাদা করেছেন।’ বলছেন সাউথ ব্লকে প্রোটোকল বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। দিল্লি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে স্বাগত জানাচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়। এপ্রিল, ২০১৭

নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার দিল্লি এসেছিলেন ২০১৭ সালের এপ্রিলে। সেই রাষ্ট্রীয় সফরেও বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে–আর তিনি ছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ও সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোল আসন থেকে জিতে তখন বিজেপির এমপি ছিলেন তিনি।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে যান শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে। সেটা অনেকটাই ব্যক্তিগত হৃদ্যতার খাতিরে, তবে রুটিন অনুযায়ী অভ্যর্থনার দায়িত্ব পালন করেন বাবুল সুপ্রিয়ই। 

‘দুই প্রধানমন্ত্রীর আমলে সেটা ছিল দিল্লিতে শেখ হাসিনার প্রথম সফর, তার একটা অন্যরকম ব্যঞ্জনা ছিল বলেই প্রোটোকল ভেঙে একটা ব্যতিক্রম স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি’- বলছিলেন ওই কর্মকর্তা। দিল্লি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাচ্ছেন দেবশ্রী চৌধুরী। অক্টোবর, ২০১৯

তার আড়াই বছর পর শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের অক্টোবরে যখন আবার দিল্লিতে আসেন, তখন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব পান আরেকজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত বিজেপি এমপি দেবশ্রী চৌধুরী। সেবার কিন্তু নরেন্দ্র মোদি নিজে আর বিমানবন্দরে আসেননি।

প্রোটোকলের রীতি অনুযায়ী এবারও একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি হলেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ। তিনি সুরাট থেকে নির্বাচিত বিজেপির এমপি।

‘গত দুবার যে মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তারা দুজনেই ছিলেন বাঙালি। আর এবারে একজন গুজরাটি মন্ত্রী তাকে অভ্যর্থনা জানালেন। পার্থক্য যদি বলেন– তা শুধু এটুকুই।’ হাসতে হাসতে যোগ করছেন ভারতীয় ওই কর্মকর্তা।          

/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিংয়ের অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
সংবাদে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করায় পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর
ভোটারবিহীন নির্বাচন: শেখ হাসিনাসহ ইসি কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা
সর্বশেষ খবর
হোটেলে কিশোর কর্মচারীর গায়ে ভাতের গরম মাড় ঢেলে দিয়েছেন বাবুর্চি
হোটেলে কিশোর কর্মচারীর গায়ে ভাতের গরম মাড় ঢেলে দিয়েছেন বাবুর্চি
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা, বিএনপি আনন্দিত
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা, বিএনপি আনন্দিত
৩৪০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক
৩৪০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক
আ.লীগকে নিষিদ্ধ করায় গরু ‘কোরবানি’ করলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী
আ.লীগকে নিষিদ্ধ করায় গরু ‘কোরবানি’ করলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী
সর্বাধিক পঠিত
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ