X
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আমরা চীনের ‘লেজুড়’ নই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
০৮ জুলাই ২০২৩, ২০:৪৯আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩, ২০:৪৯

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ কোনও দেশের লেজুড় নয় এবং চীনের দিকে কখনও ঝুঁকেও পড়েনি। কারণ, ঢাকা একটি ‘ভারসাম্যপূর্ণ ও স্বাধীন’ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখে চলে। তিনি আরও বলেন, কিছু লোক মনে করে আমরা চীনের দিকে ঝুঁক্ছি, কিন্তু আমরা কারও দিকে ঝুঁকছি না। আমরা কারও লেজুড় নই। আমরা চীনেরও লেজুড় নই।

শনিবার (৮ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিপ্লোম্যাটিক রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

বেইজিংকে উন্নয়ন অংশীদার বলে অভিহিত করে এবং ‘চীনা ঋণের ফাঁদে’ পড়ার কোনও ধরনের আশঙ্কা নাকচ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ভুল ধারণা। কোনও কোনও পণ্ডিত এমন কথা বলেন। অনেকে এটা বিশ্বাস করে, বিশেষ করে কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান। কোনও অবস্থাতেই আমরা ‘চীনা ঋণের ফাঁদে’ পড়বো না। বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা খুবই বিচক্ষণ ও সতর্ক। আমরা অপ্রয়োজনীয় ঋণ নিই না।

এ কে মোমেন বলেন, জনকল্যাণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বৈদেশিক নীতি ‘সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’ অনুসরণ করে চলেছে।

ভারতের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ককে ‘সুদৃঢ়’ এবং ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সোনালি অধ্যায়ে রয়েছি’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কও ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতে, ওয়াশিংটন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়।

তিনি বলেন, ঢাকা সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে। সব দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সে জন্য জাতিসংঘে যেকোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আমরা জয়ী হই।

আইএমএফের মতে, একটি দেশ ঋণের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে, যদি এর মোট বৈদেশিক ঋণের ৫৫ শতাংশের বেশি একটি একক উৎস বা দেশ থেকে আসে। তবে বাংলাদেশের জিডিপিতে বৈদেশিক ঋণের অংশ মাত্র ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যার মধ্যে ৬১ শতাংশ এডিবি, আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সরবরাহ করেছে। জাপান ১৭ শতাংশ নিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ একক দেশের ঋণ প্রদানকারী হয়ে উঠেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে, যা মোট জিডিপির শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সূত্র: বাসস

/এনএআর/
সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে বিএনপির আশায় গুড়েবালি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীন সফরে পুতিন, পরীক্ষার মুখে ‘নো লিমিট’ বন্ধুত্ব
শির সঙ্গে বৈঠক করতে চীন সফরে পুতিন
সর্বশেষ খবর
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
একসময় চট্টগ্রাম বন্দর যেকোনও দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ
একসময় চট্টগ্রাম বন্দর যেকোনও দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ
অটোরিকশায় থাকা নারীকে মোটরসাইকেল থেকে ‘গুলি’, পুলিশ বলছে সন্দেহ আছে
অটোরিকশায় থাকা নারীকে মোটরসাইকেল থেকে ‘গুলি’, পুলিশ বলছে সন্দেহ আছে
অর্থনীতি সমিতির সম্মেলন কাল, প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী
অর্থনীতি সমিতির সম্মেলন কাল, প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
ফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু, কেজি ৪০ টাকা
রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু, কেজি ৪০ টাকা
তালের শাঁস খেলে মিলবে এই ১০ উপকারিতা
তালের শাঁস খেলে মিলবে এই ১০ উপকারিতা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন
রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন