বেলজিয়ামে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বাংলাদেশের ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসেলস বেলজিয়ামে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) এই ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরীফ মাহমুদ অপু এ তথ্য জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন। ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন ঘোষণা করে তিনি বলেছিলেন, এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’
তিনি বলেন, ‘যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান, মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সকল পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। এমনকি উন্নত দেশগুলোর স্বল্পসংখ্যকে স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪টি জেলার ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আজ ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে বেলজিয়ামে ই-পাসপোর্ট সেবা প্রদান চালু হয়েছে। শিগগিরই দেশের ৮০টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দ্রুত ই-ভিসা কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ সাহানারা খাতুন, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপ পরিচালক এবং বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন।
এর আগে, ১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলজিয়ামে পৌঁছান। বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।