আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বাংলাদেশের নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেই প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২৭ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে প্রায় দেড়ঘণ্টা বৈঠক করেন। পরে সিইসি বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় আলাপচারিতার মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। উনি জানতে চেয়েছিলেন আমাদের প্রস্তুতি কেমন। তাকে জানিয়েছি, নির্বাচনের বিষয়ে আমরা আশাবাদী, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। উনি অতিরিক্ত যেটা বলেছেন—নির্বাচনটা যেন পার্টিসিপেটরি (অংশগ্রহণমূলক) এবং ক্রেডিবেল (বিশ্বাসযোগ্য) হয়। এ বিষয়ে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে কী ভূমিকা পালন করবো, সেটাও তিনি জানতে চেয়েছেন।’
আলোচনায় গণমাধ্যমের ভূমিকাও উঠে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পর্যবেক্ষকের বিষয়টা আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তাকে জানিয়েছি যে আমরা স্বচ্ছতার ওপর জোর দেবো। এজন্য পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যমের কাছ থেকে খুব বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা কামনা করে থাকবো। কারণ, নির্বাচনের যে একটা দর্পণ, তা প্রতিফলিত হবে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে।’
সারাহ কুক গণমাধ্যমের জন্য ইসির নীতিমালা প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘নীতিমালায় পারমিশন (অনুমতি) নিয়ে যেতে হবে বলে বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেছেন। আমরা বলেছি, সেখানে পারমিশন বলে কিছু ছিল না। শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যম থেকে যে দাবিটা আসছে, সেটা হলো মোটরসাইকেলের বিষয়ে। আমরা বলেছি, একটা কারণে এটা বাদ দিয়েছিলাম; মোটরসাইকেলের অপব্যবহার হয় কিনা। যারা মাসলম্যান (পেশিশক্তি ব্যবহারকারী) তারা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে সংকট তৈরি করে কিনা। একই সঙ্গে বলেছি, গণমাধ্যমের যে দাবি সেটাও যৌক্তিক। মোটরসাইকেল ছাড়া তাদের নির্বাচনি কর্মকাণ্ড কাভার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। সে জন্য আমরা বলেছি, এটা আমরা আন্ডার রিভিউ (বিবেচনাধীন) রেখেছি। সেটা আমরা এডিকুয়েটলি (যথাযথভাবে) পরিবর্তন করবো।’
সারাহ কুক প্রত্যাশা করেছেন, নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়। এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলেছি, ইলেকশন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হতে হলে যারা পোলিং এজেন্ট, তাদের ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। পোলিং এজেন্টদের আমরা সেনসেটাইজ (সংবেদনশীল) করবো। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে শৃঙ্খলা রাখতে এবং কোনও অপব্যবহার রোধ করতে হলে পোলিং এজেন্টদের সক্রিয় হতে হবে, সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর এতে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যে অনিয়ম হতে পারে, সেই আশঙ্কা কমে আসবে।’
আরও পড়ুন: