নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে অনেকের মনে কষ্ট। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেকের কষ্ট। বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে। এটি দূর করেছেন আলোর দিশারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, রংপুর বিভাগ কিছুটা পিছিয়ে ছিল, এখন হাইস্পিড গতিতে এগিয়ে চলছে। ৯ বছর আগে যেখানে প্রতিদিন সৈয়দপুরে দু/তিনটি বিমান চলাচল করত। এখন সেখানে প্রতিদিন ১৯টি বিমান চলাচল করে। আগে রংপুরের মানুষকে মফিজ বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। এখন সেই অবস্থা নেই। এখন রংপুরের মানুষ সব থেকে বেশি বিমানে যাতায়াত করে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশ যাতে স্বাধীন না হয় সেজন্য অনেকেই বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে ছিল, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে ছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে অনেকেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে। অন্যদের ইঙ্গিতে, ইশারায় চলছে। ওই জায়গায় নেওয়া যাবে না । বাংলাদেশের মানুষের চোখ খুলে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।
আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংগঠনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য উন্মে কুলসুম স্মৃতি, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য শামসুল হক দুররানী, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, সদস্য মশিউর রহমান, সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক ও নর্থ বেঙ্গল ফোরামের সভাপতি নজমুল হক সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়সার ইমন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রংপুর বিভাগ ছিল না। এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। বিভাগ হয়নি। রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জন্য রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার পক্ষ থেকে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। রংপুর বিভাগ হওয়ায় রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি পরিচয় দিতে পারছি এটা আমাদের গর্বের। রংপুর বিভাগের উন্নয়নের জন্য যা যা দরকার সেটা প্রধানমন্ত্রী করবেন। আগে জেলাভিত্তিক সংগঠন ছিল। অনেক কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। বিভাগ প্রতিষ্ঠার ফলে ভ্রাতৃত্ববোধ সৌহার্দ্য বেড়েছ। একই প্লাটফর্মে এসেছে। অনেক বড় প্রাপ্তি।
প্রধানমন্ত্রী রংপুরের ঘাঘট নদী উন্নয়নে ২৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। তিনি যেটি ঘোষণা করেন সেটি তিনি বাস্তবায়ন করে থাকেন। যেমনটি তিনি পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে সিরিয়াস ছিলেন, তেমনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি একজন দক্ষ কূটনীতিক। তার দক্ষ কূটনৈতিকতার ফলে তিনবিঘা করিডোর, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন ও বঙ্গোপসাগরে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলো দিয়ে ৭২ ভাগ পানি প্রবেশ করে। চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে রেল ও সড়কপথের উন্নয়ন করা হচ্ছে। রংপুর বিভাগে মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের নিকট তুলে ধরা গণমাধ্যমের দায়িত্ব।