জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের অফিস থেকে ১৪ নভেম্বর একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে জাতিসংঘের তিনজন বিশেষজ্ঞ বা স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের এই মতামতের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ মনে করে, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের অফিসের অপব্যবহার করে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ আশা করে তারা তাদের যে কাজের পরিধি রয়েছে তার মধ্যে থেকে কর্ম সম্পাদন করবে।
ওই তিন বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন আইরিন খান, নিয়ালেটসোসি ভোল এবং মেরি ললার। এর মধ্যে আইরিন খান বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ইউনিভারসাল পিরিয়ডিক রিভিওতে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে। তার একদিন পরে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা দেখে মনে হয় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারকে হেয় করার চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
একই সময়ে আরও ১৩টি দেশ তাদের মানবাধিকারপরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে ইউনিভারসাল পিরিয়ডিক রিভিউতে। কিন্তু তাদের সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা কোনও মন্তব্য করেননি।