জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংসদীয় কূটনীতি দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক স্তরে সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে জটিল সমস্যা সমাধানে সহায়ক। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সংসদীয় কূটনীতিকে কাজে লাগাতে হবে।
রবিবার (২৪ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের ২১৩তম সেশনে ‘পার্লামেন্টারি ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর স্পিস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সংসদীয় কূটনীতি এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।’
সংসদ গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে সংসদ। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ), কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ), পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন অব দ্য ওআইসি মেম্বার স্টেটসসহ (পিইউআইসি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে জড়িত এবং সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে সংসদীয় কূটনীতি প্রচার করে।’
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসাবে সংসদ সদস্যরা এমন একটি বিশ্ব তৈরির অনন্য ক্ষমতা পান, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষা অর্জনের সমান সুযোগ থাকে। জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সারা বিশ্বের সংসদ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করে চলেছে, যেখানে সবার জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সমান হবে।’
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে ছিলেন– জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম, এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম।