চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের গাড়িতে একাধিকবার ট্রাকের ধাক্কা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘সমন্বয়কদের ওপর হামলার বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার কোনও সুযোগ নেই। সমন্বয়করা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিকে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালাচ্ছেন, তাদের বিবেককে যেভাবে জাগ্রত করছেন, এটা নিশ্চয়ই অনেকের স্বার্থে লাগবে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘তাদের যে নিরাপত্তা প্রয়োজন, এটা আলোচিত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে সরকারের সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।’
শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরোধ থাকলে আলোচনায় সমাধান
শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মানুষ তাদের প্রতি আস্থার জায়গা খুঁজে পেয়েছে। ছোট ছোট বিরোধ নিয়ে এমন কিছু করা উচিত না যেটা আমাদের জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখার জন্য আমরা যে লড়াইয়ে শামিল হয়েছি, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের প্রতি জাতি যে আস্থা ও ভরসা রেখেছে তা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে, যেন আরও বাড়ে ও সুদৃঢ় হয়। সে জন্য যেকোনও বিরোধ, সমস্যার সমাধান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীসহ সকলেই করেন।
সারা দেশে আদালতের নিরাপত্তার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘সকলকে সংযত থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। হয়তো আপনার দাবি যৌক্তিক, কিন্তু আপনার দাবি আদায়ের পদ্ধতি যদি বেআইনি, ধ্বংসাত্মক হয়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে আপনার ন্যায্য দাবিও পূরণ করতে পারবেন না। আজকে প্রধান বিচারপতিও উদ্বেগ জানিয়েছেন। আমরা সকলকে বলবো, এ জাতীয় ধ্বংসাত্মক ও অবমাননামূলক কাজ থেকে বিরত থাকুন। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দায়ের করার প্ল্যাটফর্ম আছে, অভিযোগ দায়ের করা হবে। সংবাদ সম্মেলন করা হবে, কিন্তু ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া বেছে নিলে কারও কোনও লাভ হবে না।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থানা স্থাপন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরি মনে করছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুই সপ্তাহের সময় নিয়েছি। দুই সপ্তাহ আমরা বসে দেখবো এই থানাটা এখানে করার উপযোগী কিনা। তাছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয় ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাথে যে মিটিংগুলো করেছে সে ব্যাপারে কেবিনেটকে অবহিত করা হয়েছে। এবং সেখানে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের জন্য বেশ ইতিবাচক বলে অ্যাডভাইজিং কমিটিকে জানানো হয়েছে।