X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

হচ্ছে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’, বাদ যাচ্ছে বিতর্কিত সব ধারা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৪আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৪

প্রস্তাবিত নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’-এ আগের আইনের বিতর্কিত সব ধারাগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘এই আইন আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেবে। নতুন আইনে কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে না।’

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৭ নভেম্বর আওয়ামী লীগ আমলে প্রণীত বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। ওই আইন বাতিল করে নতুন এই অধ্যাদেশ জারি করা হচ্ছে।

‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ বাতিল করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিতর্কিত হওয়ার কারণে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এটাকে ব্যবহার করেছিল ভিন্নমত দমন তথা মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য। দেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি কেউ যেন তার মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে না পারে। সেটাকে পরিবর্তন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নতুন আইনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে চাই। আপনারা জানেন, সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের অপরাধ হয়। অনেকে প্রতারিত হন। মা, বোন ও শিশুরা অনেক ধরনের বুলিংয়ের শিকার হন। সাইবার স্পেসকে সুরক্ষা দেওয়া সরকারের একটি দায়িত্ব। এ বিষয়টি বিবেচনা করে অধ্যাদেশটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটা নিশ্চিত হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, গত সাড়ে চার মাসে এই সরকারের চরিত্র আপনারা দেখেছেন। কোনও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সামান্যতম প্রভাবিত করেছি— আমার মনে হয় না এ বিষয়ে কোনও এভিডেন্স আছে। আপনারা নিশ্চিত থাকেন, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের মাধ্যমে সব মানুষের সাইবার স্পেসও যেমন সুরক্ষিত হবে। একই সঙ্গে এটা আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেবে। এটা কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে না। এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।’

‘আগের আইনে যেসব বিতর্কিত ধারা ছিল, তার সবগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে’, উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।

সম্প্রতি অনেক গণমাধ্যম অফিসে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তালিকা দিয়ে এসেছেন, যাদের চাকরিচ্যুত করতে বলা হয়েছে। এটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কতটা সহায়ক—  জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমি আমার সরকারের কথা বলতে পারি। বেসরকারি নাগরিক কে কী বলছেন, সেটা আমরা বলতে পারি না। আমরা তো সমন্বয়কদের সরকার নই। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমি আমার সরকারের কথা বলছি। আমার সরকারের কেউ যদি এ ধরনের কিছু করে থাকে, সেটা বলেন। সরকারের বাইরে কে কী করলো সেটা বিএনপি হোক, আওয়ামী লীগ হোক, অথবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন- যেই হোক; তার দায়-দায়িত্ব তো আমার নয়। এটা উনারদের প্রশ্ন করেন।’

/ইএইচএস/ইউএস/
সম্পর্কিত
বাংলাদেশ দরিদ্র নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
মানুষের টিকে থাকার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ জরুরি: ফরিদা আখতার
সরকার শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে: শ্রম উপদেষ্টা
সর্বশেষ খবর
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর ২ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর ২ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়
রসিদ দিয়ে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি, অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে
রসিদ দিয়ে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি, অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে
স্বেচ্ছায় ২ শতাধিক সাপের কামড় খাওয়া ব্যক্তির রক্তে যুগান্তকারী অ্যান্টিভেনম
স্বেচ্ছায় ২ শতাধিক সাপের কামড় খাওয়া ব্যক্তির রক্তে যুগান্তকারী অ্যান্টিভেনম
খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার
খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার
সর্বাধিক পঠিত
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন