স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম ‘বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী’। উদীচীর বর্তমান নেতৃত্ব নিজেদের মাঝে সব মতপার্থক্য দূরে ঠেলে এক টেবিলে আলোচনার মাধ্যমে ‘রুচির আকালে’ নিপতিত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের হাল শক্ত হাতে ধরার আহ্বান জানিয়েছে উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত উদীচী-শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বুধবার (১৮ জুন) এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের অন্যতম আদর্শিক সংগঠন উদীচী কেবল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনই নয়। এটি বাংলাদেশের মানুষের ন্যায়বিচার ও মানবিক অধিকার আদায়ে ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে যে গুরুদায়িত্ব পালন করেছে তা অতুলনীয়। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে এই সংগঠনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির নানা ঘাত-প্রতিঘাতকে প্রতিহত করতে প্রবল প্রত্যয়ে পথে নেমেছে। সারাদেশে বিস্তৃত শাখা কার্যক্রমের মাধ্যমে পৌঁছে গেছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে।
এতে বলা হয়, মানুষের অধিকার আদায়ের কণ্টকাকীর্ণ পথে উদীচীর বুক থেকে ঝরেছে রক্ত। যশোর, নেত্রকোনায় উগ্র-সাম্প্রদায়িক শক্তির বোমার আঘাতে শহীদ হয়েছে অসংখ্য উদীচী সদস্য। কিন্তু স্বৈরশাসকের, জঙ্গি ধর্মব্যবসায়ীদের চোখরাঙানি, বুলেট, বোমা স্তব্ধ করতে পারেনি উদীচীর কর্মকাণ্ড।
এতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি, সকল কালোমেঘ সরিয়ে উত্তর আকাশে জ্বলজ্বল করবে বাংলার প্রগতিশীল সংস্কৃতিমনা মানুষের দিশারী ‘উদীচী’।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সৈয়দ হাসান ইমাম, রথীন্দ্রনাথ রায়, লায়লা হাসান, বেলাল বেগ, মুহম্মদ ফজলুর রহমান, সুব্রত বিশ্বাস, কাজী ইসলাম, কৌশিক আহমেদ, হুসনে আরা, হাসান মাহমুদ, ক্ল্যারা রোজারীও, আশীষ রায়, মো. আলীম উদ্দীন, মহিতোশ মজুমদার তাপস, সাগর লোহানী, আলপনা গুহ, ফরিদা ইয়াসমিন, মিথুন আহমেদ , আনোয়ার শাহাদাত, তাহমিনা শহীদ, কল্লোল দাশ, সুলেখা পাল, হিরো চৌধুরী, এজাজ আহমেদ, হোসেন শাহরিয়ার তৈমুর, ওবায়দুল্লাহ মামুন, মজিব বিন হক, কাশেম আলী, মোজাম্মেল লস্কর, মোকলেস মোনতাসির, সৈয়দ রেজাউল করিম, এবাদুল হক চৌধুরী, আবু মনসুর,মুহিবুল হক রুকন,আবদুল কুদ্দুস মাখন, গোলাম মর্তুজা, শরাফ সরকার, জেবু চৌধুরী, রতন কর্মকার
আব্দুল বারী, টিংকু দাস, মহিউদ্দিন মাসুম, নাসিম আহমেদ, শাহাব আহমেদ, প্রতাপ দাস, সৈয়দ জাকির আহমেদ রনী, কাজী আতীক, বাশিরুল হক, জুলফিকার হোসেন বকুল, আব্দুল হাফিজ চৌধুরী ইমু, সৌদ চৌধুরী, শীলা মোস্তাফা, রওশন আরা নীপা, নজরুল কবীর এবং সৈয়দ মুজিবুর রহমান।