ব্যাংক ডাকাতি, শিশু হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বরগুনা, নেত্রকোনায় শিশু হত্যা ও ঢাকার আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির দায়ে এসব মৃত্যুদণ্ড দেন বিভিন্ন আদালত।
বাংলা ট্রিবিউনের রিপোর্টার ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে এসব তথ্য জানা গেছে।
সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারের কমার্স ব্যাংকে ডাকাতি ও আটজনকে হত্যার ঘটনায় ছয় জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও দুইজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এই আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বোরহানউদ্দিন, সাইফুল আলামিন, মাহফুজুল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে জামিল, মো. জসীমউদ্দিন, মিন্টু প্রধান ও পলাশ। এদের মধ্যে পলাশ পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া শিশু হত্যার ঘটনায় নেত্রকোনা ও বরগুনায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমাদের বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বরগুনায় শিশু রবিউল হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মিরাজকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের এই রায় ঘোষণা করেন।
বরগুনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ আবু তাহের মামলার লিখিত রায় পরে শোনান। এসময় রবিউল হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মিরাজকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমান করা হয়। একই সঙ্গে ২০১ ধারায় লাশ গোপন করার অভিযোগে ৭ বছরের সশ্রম কারদণ্ডসহ দশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
অন্যদিকে নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় শুক্কুর আলী (১২) নামে এক শিশুকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কেন্দুয়া উপজেলার চিটুয়া নওপাড়া গ্রামের কাঞ্চন খানের ছেলে শামীম খান (২০), আব্দুস সালামের ছেলে মো. সোহাগ এবং তারাকান্দি রাজিবপুর গ্রামের সুলতু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন। এদের মধ্যে হুমায়ুন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় যুবক নিহত
/এমও/টিএন/আপ-এআর/