ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘কল্যাণপুরের অভিযানটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম সফল একটি অভিযান। যেখানে শতভাগ জঙ্গি নিশ্চিহ্ন হয়েছে এবং আমাদের পক্ষ থেকে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার কিছু আগে কল্যাণপুরে জঙ্গিদের আস্তানায় বিশেষ অভিযান সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় ডিএমপি কমিশনার একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নবগঠিত কাউন্টার টেরোরিজমের সব অফিসার, ডিএমপির বিশেষায়িত শাখা সোয়াত টিম রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারপর তারা ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনে অবস্থান নেয়। এই এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সব দিক বিবেচনা করে একটি অভিযান চালানো পরিকল্পনা করে।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ডিবি, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ক্রাইম, তাদের নেতৃত্বে অভিযান পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। রাতে ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি গ্রহণ করে ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে সোয়াত টিমের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।
এই অভিযানে সোয়াত টিমকে সহযোগিতা করেছে আমাদের থানা পুলিশ এবং অন্যান্য ডিএমপি ফোর্স। সোয়াত টিমের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয় এবং এক ঘণ্টাব্যাপী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় চলতে থাকে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, সন্ত্রাসীরা তাদের ৭.৬২ পিস্তল, হ্যান্ড গ্রেনেড বোমা এবং লোকাল মেইড গ্রেনেড দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। আত্মরক্ষার্থে আমাদের পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে তাদের অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে। এই পাল্টা গুলি বিনিময়ের সময় ঘটনাস্থলে ৯ জন জঙ্গি নিহত হয় এবং একজন পুলিশ সদস্য গুলিতে আহত হন। অভিযান চলে এক ঘণ্টাব্যাপী।
আহত অবস্থায় এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি লোকাল হোমমেইড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ অন্যান্য গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। যার মধ্যে জেল বিস্ফোরক প্রায় ৫ কেজি, ডিটারেটর ১৯টি, ৭.৬২ রাইফেল ৪টি, ২২ রাউন্ড গুলি, পিস্তল ৪টি, ম্যাগাজিন ৭টি এবং ৭.৬২ পিস্তলের ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একটি তালোয়ার, তিনটি চাকু, ১২টি গেরিলা চাকু, আরবিতে আল্লাহু আকবর লেখা দুটি কালো পতাকা উদ্ধার করা হয়।
/এসএএস/এসটি/