মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিল রিভিউয়ের (পুনর্বিবেচনা) রায় ৩০ আগস্ট মঙ্গলবার দেওয়া হবে। রবিবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা চূড়ান্ত রায় ঘোষণার জন্য দিনটি ধার্য করেন।
রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার পর দ্বিতীয় দিনের মতো রিভিউ শুনানি শুরু হলে খন্দকার মাহবুব তার যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপন শুরু করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শুনানি শেষে বেলা সাড়ে ১২টার পর আদালত রায়ের জন্য আগামী মঙ্গলবার ৩০ অগাস্ট দিন নির্ধারণ করেন।
দণ্ড মওকুফ চেয়ে ৮৬ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরেছেন মীর কাসেমের আইনজীবী। শুনানি শেষে তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাব’।
আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জুলাই রিভিউ শুনানির জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয় মীর কাসেম আলীকে। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৪ আগস্ট। ওই দিন আবার এর আগে গত ১৯ জুন আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। ওই আবেদনে ১৪টি আইনি যুক্তি তুলে ধরে তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
এর আগে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে দেওয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৬ জুন প্রকাশ করা হয়।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেম আলীর পক্ষে আপিল করেন জয়নুল আবেদীন তুহিন। মীর কাসেমের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে এ আপিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মীর কাসেমের মামলায় দক্ষ কৌঁসুলি না থাকায় আদালতের বিস্ময় প্রকাশ
/ইউআই/এসটি/