‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা’ প্রকাশ করে লেখা খোলা চিঠিসহ একটি বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়ি রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের সামনে ফেলে গেছেন এর জনৈক মালিক।
পরিত্যক্ত অবস্থায় এটিকে উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এর মূল্য আনুমানিক তিন কোটি টাকা বলে তারা জানান।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুল্ক গোযেন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সামনের রাস্তায় একটি মার্সিডিজ গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে আজ বুধবার দুপুরে সেটি শুল্ক গোয়েন্দারা উদ্ধার করেন।’
উদ্ধারের পর দেখা যায়, গাড়ির ভেতরে একটি খোলা চিঠি রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে 'আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমার দখলে থাকা গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দার সদর দফতরে জমা প্রদান করি।’
চিঠিতে আরও লেখা ছিল, ‘আমি এই গাড়িটি জমা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। আমার মতো অন্যরাও যেন অনুরূপভাবে অবৈধ গাড়ি জমা প্রদান করেন।’
শুল্ক গোয়েন্দাদের চলমান অভিযানকেও স্বাগত জানিয়েছেন খোলা চিঠির লেখক।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘গাড়িটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, এটি দুই দরজার লাল রঙের এস এল কে ২৩০ মডেলের মার্সিডিজ বেঞ্জ। এর চেসিস নং WDB1704652F415642। এটি যাচাই করে দেখা যায় গাডির ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ২৩০০ সিসি ও ২০০২ সালে তৈরি।
সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, গাড়িটি কারনেটের আওতায় দেশে আনা হয়েছিল। শর্ত অনুযায়ী বিদেশে ফেরত নেওয়ার কথা থাকলেও শর্ত ভঙ্গ করে কারনেট সুবিধার অপব্যবহার করে দেশে চালানো হয়েছিল। বর্তমানে দেশব্যাপী অবৈধ গাড়ি আটকে অভিযান পরিচালনায় সচেতনতা বাড়াতে এই গাড়ি স্বেচ্ছায় জমা দেওয়া হয়েছে মর্মে এ ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে সিলেটের শুল্ক গোয়েন্দার দফতরে একজন অবৈধ গাড়ি ব্যবহারকারী স্বেচ্ছায় একটি লেক্সাস গাড়ি জমা দেন। এ নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দারা ৩২টি অবৈধ গাড়ি আটক করেছে। আজ উদ্ধার করা গাড়িটির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
/জেইউ/এইচকে/