গাজীপুরের পাতারটেক এলাকায় নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা না করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালালে তারা নিহত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা জানিয়েছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের নোয়াগাও পাতারটেক এলাকায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। অভিযান চলে বিকাল পৌনে চারটা পর্যন্ত। অভিযানের পর দোতলা ভবনের ওপরের তলায় সন্দেহভাজন সাত জঙ্গির মরদেহ পাওয়া যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বিকাল পাঁচটা) তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অভিযানের প্রায় শেষপর্যায়ে ঘটনাস্থলে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর আকাশের নেতৃত্বেই নব্য জেএমবি সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুতে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্ত তা না করে তারা উল্টো পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। পরে ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাত জঙ্গির মরদেহ পাওয়া যায়।'
মন্ত্রী জানান, অভিযান শেষে তিনটি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। পাওয়া গেছে কয়েকটি চাপাতি ও একটি গ্যাস সিলিন্ডার। গোলাগুলির সময় ১৪টি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছে। এডিসি ছানোয়ার হোসেন বলেন, আকাশ শোলাকিয়া হামলার মুল পরিকল্পনাকারী। ঢাকা বিভাগের নিও জেএমবির কমান্ডার
প্রসঙ্গত, একই দিন ভোরে গাজীপুরের পশ্চিম হাড়িনালের একটি বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়। সেখান থেকেও অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।
/এআরআর/এআরএল/
আরও পড়ুন: