X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৫১আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:১৭

‘শেপিং এ নিউ ওয়াটার ইকোনমি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের অবদান বিশাল। এই শিল্পে শ্রমিক অধিকার, কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও পরিবেশগত মানসহ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’  মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসের কংগ্রেস সেন্টারে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের ৪৭তম বার্ষিক সভার ‘শেপিং এ নিউ ওয়াটার ইকোনমি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘ওয়ার্ল্ড রিসার্স ইনস্টিটিউট’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী এন্ড্রু স্টিয়ার-এর সঞ্চালনায় এই কর্মশালায় ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামে যোগদানকারী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেতন কাঠামো, কর্মস্থলের নিরাপত্তা, রীতিনীতি এবং শিল্পখাতে সহনশীল সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প উচ্চতর মান অর্জন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘মূল বেতন ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্লোবাল ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদের সুপারিশের ভিত্তিতে ৩ হাজার ৭৮০টি কারখানার সবগুলোর সমীক্ষা শেষ হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম তৈরি পোশাক ও বস্ত্র রফতানিকারক দেশ। এই খাতে ৪৫ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছেন। তাদের ৮০ শতাংশই নারী। আমাদের মোট রফতানির ৮৩ শতাংশই এই শিল্প খাতের।’ তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কারখানাগুলো বর্তমানে গ্লোবাল ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি কারখানায় পেশাগত নিরাপত্তা কমিটি রয়েছে, যেখানে শ্রমিক ও কর্মচারীরা একসঙ্গে কাজ করছে।’

সরকার তৈরি পোশাক খাতকে পরিবেশবান্ধব করার জন্য চেষ্টা করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৮টি কারখানার এলইইডি সনদপত্র রয়েছে। বিশ্বের ১০টি শীর্ষ স্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৭টি বাংলাদেশে রয়েছে।’ তিনি  বলেন, ‘‘তৈরি পোশাক খাতে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দূষিত পানি শতভাগ শোধন এবং পানি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ‘২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপ’ (ডব্লিউআরজি)- এর সঙ্গে কাজ করছে। ২০৩০ ডব্লিউআরজি’র সঙ্গে আমাদের কাজের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে:

১. দূষিত পানি পরিশোধনে বড় অঙ্কের অর্থের ব্যবস্থা করা,

২. দূষিত পানি পরিশোধনে আর্থিক ও অর্থ-বর্হিভূত প্রণোদনা দেয়া,

৩. সমগ্র বাংলাদেশে পানির ব্যবহারের লক্ষ্যে মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা,

৪. পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উন্নত করা,

৫. পানি শাসনের জন্য বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।” 

সবার জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’  সূত্র: বাসস

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ডব্লিউইএফের সভা আয়োজনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

/এমএনএইচ/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বরিশালে গরমে শ্রেণিকক্ষে ৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ
বরিশালে গরমে শ্রেণিকক্ষে ৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নস্যাৎ সম্ভব না: দুদু
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নস্যাৎ সম্ভব না: দুদু
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
রেশনে পণ্য চান শ্রমিকরা
রেশনে পণ্য চান শ্রমিকরা
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ