খালি পায়ে হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাগর জলে পা বাড়ালেন। সাগরের নোনা জল ঢেউয়ের পর ঢেউ ছড়িয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে তার পা। খোলা হাওয়ায় মন হারিয়ে যাওয়ার অবকাশ হয়তো নেই, পেছনেই নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা। তাও সব ভুলে সমুদ্রের বিশালতায় যেন কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেলেন তিনি। শনিবার (৬ মে) বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের ইনানি বিচে হেঁটে সবাইকে চমকে দিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলে চাইলেও সাধারণ পর্যটকের মতো ঘুরে বেড়ানো যায় না।ঘড়ি বাঁধা জীবনে অসম্ভব ব্যস্ততা থাকে শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের । কিন্তু পাহাড়, নদী কিংবা সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মন চায় তাদেরও। কাজের সূত্রে সাগর পাড়ে আসায় খানিকটা সময়ের জন্য সাগরে নেমে সেই সুযোগটি নিলেন আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জনবহুল ঢাকায় যান্ত্রিক জীবনযাপন করতে হয় শেখ হাসিনাকে। তাই কক্সবাজারে কোলাহলমুক্ত ও নির্মল প্রকৃতির ছোঁয়া পেয়ে তার চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক। সৈকতে সময় কাটিয়ে তিনি মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখছিলেন সমুদ্রের ঢেউগুলোর অপূর্ব মিতালী। বিশাল জলরাশির সামনে সৈকতের নয়নাভিরাম দৃশ্য বেশ কিছুক্ষণ উপভোগ করেন তিনি।
এমনিতে সাধারণ পর্যটকদের আনাগোনায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার মুখর হয়ে থাকে প্রতিদিন। তবে শনিবার ছিল ভিন্ন চিত্র। এদিন প্রধানমন্ত্রীর আগমন নতুন আবহ তৈরি করে এখানে। সমুদ্র সৈকতে পায়চারির সময় তার চোখেমুখে ছিল অন্যরকম আনন্দ-উচ্ছ্বাস। সাগরপাড়ে শেখ হাসিনার খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানোর দৃশ্য অভূতপূর্ব লেগেছে অনেকের কাছে।
শনিবার (৬ মে) ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য পর্যটন শহর কক্সবাজার গিয়ে সাগরপাড়ে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করলেন না প্রধানমন্ত্রী। এক ফাঁকে রৌদ্রস্নানের চেয়ারে কিছুক্ষণ বসে সমুদ্র পানে তাকিয়েছিলেন তিনি। হয়তো তার মনে বেজেছিল, ‘ঐ ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায়, আমার ইচ্ছে করে, আমি মন ভেজাবো ঢেউয়ের মেলায়...’।
ছবি: ফোকাস বাংলা
/জেএইচ/টিএন/