লঞ্চগুলোয় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নিয়েই রাজধানীর সদরঘাটে চলছে ঈদযাত্রা। কোনও কোনও লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী নেওয়ার পারও টার্মিনাল ছাড়ছে না। পুলিশ ও নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে কিছু লঞ্চ ছেড়ে গেলেও বুড়িগঙ্গার মাঝ পথে নৌকা ও ছোট ছোট ট্রলার দিয়ে যাত্রী উঠাতে দেখা গেছে। শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরের দিকে এমন চিত্র দেখা গেছে সদরঘাটে।
ঈদে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরইমধ্যে বাড়ি ফেরা শুরু হয়ে গেছে। রাজধানীর পরিবহন স্টেশনগুলোতে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। তবে বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অনেকেই ওই দিন বিকেলেই সড়ক ও রেলপথে বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। গতরাত থেকে আজ শুক্রবার সকালের মধ্যে অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ বাড়ি ফিরে গেছেন। ফলে শুক্রবার দুপুরের দিকে রাজধানীর সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। শুধুমাত্র স্টেশন কেন্দ্রীক যাত্রীদের কিছুটা ভিড় দেখা গেছে।
তবে সদরঘাট থেকে দূরপাল্লার অধিকাংশ লঞ্চগুলো ছাড়ে বিকালে। বৃহস্পতিবার অফিস শেষে করে জ্যামের কারণে অনেকেই লঞ্চে আসতে পারেননি। তাই লঞ্চের যাত্রীদের পছন্দ ছিল শুক্রবার। যে কারণে সকাল থেকে সদরঘাটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ দেখা গেছে।
সদরঘাট বিআইডাব্লউটিএ অফিস সূত্র জানিয়েছে, বছরের অন্যান্য সময় এ টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে প্রায় ৮০টির মতো লঞ্চ ছেড়ে যায়। ঈদ মৌসুমে এর সংখ্যা অনেকটা বাড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার সদরঘাট থেকে দেড় শতাধিক লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আজ শুক্রবার এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া যাত্রীদের ভিড় সামলাতে বিশেষ সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ দিকে সকাল থেকে সরদঘাট ছেড়ে যাওয়া অধিকাশ লঞ্চই তার ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুন বেশি যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাত্রা দিয়েছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে যাওয়ায় সকাল ১১টার মধ্যে অন্তত ৩০টি লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে গেছে। ঘাটে অবস্থানরত লঞ্চগুলোতেও দেখা গেছে প্রতিটি লঞ্চই কানায় কানায় ভরে গেছে। বিআইডাব্লিউটিএ ও আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার লঞ্চগুলো ছাড়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলেও তা কেউ মানছে না।
বিআইডাব্লিউটিএ নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সদরঘাট থেকে এই ঈদে দেশের ৪১টি রুটে ২০৬টি লঞ্চ চলাচল করবে। এছাড়া ডজলখানেক স্পেশাল সার্ভিসও রয়েছে। শুক্রবারও থাকছে লঞ্চের ৫টি বিশেষ সার্ভিস।
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার সবই করা হয়েছে। সদরঘাটে ২০০ পুলিশ ও ২০০ নৌ-পুলিশ রয়েছে। এছাড়া র্যাব, আনসার, আর্মডপুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অনেক বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। যাত্রীদের চাপ রয়েছে। কোনও লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
/এফএস/