সোমবার (৩ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে মোহাম্মপুরের রিং রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, ‘ফরিদা, ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এরপরই তার স্ত্রী ফরিদা আখতার আদাবর থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। সেটি ১১টা ৩৫ মিনিটে অপহরণ মামলার এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। দণ্ডবিধির ৩৬৫ ও ৩৮৫ ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়, মামলা নম্বর ০৪/১১৭। এজাহারের কপিতে ফরিদা আখতার যা লিখেছেন তা তুলে দেওয়া হলো।
জনাব,
সবিনয়ে নিবেদন এই যে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী ফরিদা আখতার দেশের বিশিষ্ট লেখক ও কবি ফরহাদ মো. মাজহারুল হক (ওরফে ফরহাদ মজহার)- এর স্ত্রী আপনার থানার অধীনস্থ, ফ্ল্যাট# ৪ এ-বি, হক গার্ডেন, ১ রিং রোড, শ্যামলী আদাবরে বসবাস করি। আমার স্বামী সাধারণত খুব ভোরে ঘুম থেকে জাগেন একং লেখালেখি করেন। সকাল ৫টার দিকে আমার ঘুম ভাঙার পর আমি উনাকে লেখার টেবিলে না দেখতে পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি এবং সারা ঘরে খুঁজতে থাকি। ইতোমধ্যে সকাল ৫টা ২৯ মিনিটে আমার স্বামী তার ফোন থেকে আমাকে কল দেন। তিনি ভয়ার্ত কণ্ঠে জানান, ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে-মেরে ফেলতে পারে। এরপর ফোনটি কেটে যায়। কে বা কারা তাকে এভাবে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। বিষয়টি মৌখিকভাবে আদাবর থানায় জানানোর পর পুলিশ তাকে উদ্ধারে তৎপর হয়।
এরপর ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোন থেকে সারাদিনে আরও ৪ বার ফোন কল আসে। এ সকল ফোনালাপে মজহার জানান, অপহরণকারীরা ৩৫ লক্ষ টাকা চাচ্ছেন। এ টাকা পেলে তারা তাকে ছেড়ে দেবেন।
অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি যে, এখন পর্যন্ত ফোন ট্র্যাক করে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ভবনে রক্ষিত সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখে এ বিষয়ে আমরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন।
অতএব উপরোক্ত বিষয়ে এজাহার গ্রহণপূর্বক ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
/এনএল/এসটি/
আরও পড়ুন:
‘ফরহাদ মজহারের কাছে ব্যাগ আসলো কোথা থেকে?’
ফরহাদ মজহারের কাছ থেকে যা পাওয়ার দাবি করেছে পুলিশ