‘সিটি করপোরেশন ঘরে ঘরে গিয়ে মশা মারবে না এবং মশারিও টাঙিয়ে দেবে না’— শুক্রবার (১৪ জুলাই) নগর ভবনে চিকুনগুনিয়া সম্পর্কিত কার্যক্রমে নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। এ নিয়ে সমালোচিতও হন তিনি। এ কারণে শনিবার (১৫ জুলাই) চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসি আয়োজিত র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুঃখ প্রকাশ করেন ডিএনসিসি মেয়র।
আনিসুল হক বলেন, ‘আসলে যেভাবে বলতে চেয়েছি সেভাবে হয়তো বলতে পারিনি। আমরা বলেছিলাম যে, বাড়ির ভেতরে ঢোকার অধিকার আমাদের নেই। আমরা কাউকে আঘাত করতে চাইনি, কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। আমরা চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছি।’
এ সময় চিকুনগুনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ডিএনসিসি মেয়র। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘একজন মানুষেরও যেন আর কষ্ট না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি ও করবো। আমূল পরিবর্তন আনবো। চিকুনগুনিয়াকে আর বাড়তে দেবো না।’
দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র আনিসুল হক। জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আরও অনেক এলাকায় র্যালি করবো। মশক নিধনে বিপ্লব ঘটাবো। আমাদের এলাকার সমস্ত রাস্তার তালিকা করেছি। মশক নিধন কর্মীরা সেই অনুযায়ী কাজ করবেন। এলাকার মানুষ যদি মশক নিধন কর্মীদের কাজে আশানুরূপ ফল না পান, তাহলে তাদের বেতন দেওয়া হবে না। কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে তার চাকরি চলে যাবে। গত ২ বছরে ১০৯ জনের চাকরি চলে গেছে যা গত ১৫ বছরেও হয়নি। আপনারা দেখবেন আমরা সবাই মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করবো।’
র্যালিতে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী মেসবাহ উল আলমসহ আরও ছিলেন ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী, কাউন্সিলর, এলাকাবাসী এবং বনানী বিদ্যানিকেতন ও গুলশান মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সবশেষে অভিযানে নামেন ডিএনসিসির মশক নিধন কর্মীরা।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন
/এমটি/জেএইচ/