মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে তাদের জন্য নির্ধারিত ক্যাম্পের বাইরে অবস্থান বা বাসাবাড়ি ভাড়া করে থাকতে পারবে না জানিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে পুলিশ সদর দফতর। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ নির্দেশনা জারি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনে টেকনাফে ভাড়া থাকছেন রোহিঙ্গারা শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গারা টেকনাফসহ বিভিন্ন স্থানে ঘর, বাড়ি এমনকি দোকানও ভাড়া নিয়ে থাকছে। রাস্তার পাশে বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সোহেলী ফেরদৌস স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বসবাস, খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
এতে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত নির্দিষ্ট ক্যাম্পে অবস্থান করবে। তাদের অবস্থান ও গতিবিধি শুধুমাত্র কক্সবাজারের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে সীমাবদ্ধ থাকবে। তারা ক্যাম্পের বাইরে তাদের আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত ব্যক্তিদের বাড়িতে অবস্থান বা আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন না। তাদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে কেউ বাসা ও বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন না। এছাড়া রোহিঙ্গারা নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে অন্যান্য জায়গায় যাতায়াত করতে পারবেন না। তারা সড়ক, রেল ও নৌপথে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গমনাগমন করতে পারবেন না।
পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের পরিবহনের চালক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে রোহিঙ্গাদের পরিবহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্ধারিত ক্যাম্পের বাইরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থানের তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোরও অনুরোধ করা হয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে কক্সবাজার অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলা ট্রিবিউনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টেকনাফের হোছনিপাড়া,নয়াবাড়ি,পাহাড়ার কাটা,উছনি প্রাং ও হ্নীলা এলাকায় রোহিঙ্গাদের বাড়ি ও দোকান ভাড়া নিয়ে থাকার চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয়রা ও রোহিঙ্গারা বিষয়টি অকপটে স্বীকারও করেছেন।
আরও পড়ুন: