এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাংলা ও ইংরেজি’র পর এবার ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হলো। এ নিয়ে টানা পাঁচটি পরীক্ষার প্রশ্নই ফাঁস হলো। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপের একটি গ্রুপে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বহুনির্বাচনি অভীক্ষার ‘খ’ সেটের চাঁপা প্রশ্নপত্রটি পাওয়া যায়। যা অনুষ্ঠিত প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পরীক্ষাটি শুরু হয়, শেষ হয় দুপুর ১ টায়। এর আগে সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপের 'ইসলাম শিক্ষা SSC 2K18' নামের একটি গ্রুপে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার ‘খ’ সেটের প্রশ্নপত্রটি পাওয়া যায়। এর সঙ্গে ছিল হাতে লেখা উত্তরপত্র। এই গ্রুপে প্রথম প্রশ্নপত্র ছাড়েন ‘আহমেদ নিলয়’ নামের একটি হোয়াট্সঅ্যাপ আইডি থেকে। তিনি একের পর এক প্রশ্ন ও প্রশ্নের সঙ্গে হাতে লেখা উত্তরপত্রও ছাড়তে থাকেন।
এসময় আহমেদ নিলয় পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেউ সাড়ে ৯ টার আগে হলে ঢুকবেনা। !! বেস্ট অফ লাকপ্রশ্নের পিক ক্লিয়ার আউট না হওয়ার জন্য এন্সার দিতে এত লেট হইলো...না হলে অনেক ৯:০৫ এর মধ্য এন্সার দিয়া দিতাম...সবাই ১০০% যেইটা পারবা অইটা এইখান থেকে ফেল করবা না।'
পরীক্ষার্থীদের এক প্রশ্নের জবাবে আহমেদ নিলয় বলেন, 'প্রশ্ন আর উত্তর লিখে দেওয়া হইছে কিন্তু সিরিয়াল নাই শুধু দেখো।'
এরপর থেকে ফেসবুকসহ অন্যান্য সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্রটি ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশ্নের সঙ্গে ওই প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়সহ আমরাও তদারকিতে আছি।’
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন একই কায়দায় ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়। বাংলা প্রথম পত্রের বহুনির্বাচনি অভীক্ষার ‘খ’ সেট পরীক্ষার প্রশ্ন ও ফেসবুকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল ছিল। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই তা ফেসবুকে পাওয়া যায়।
৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে প্রায় ঘণ্টা খানেক আগে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যক্তিক (বহুনির্বাচনি) অভীক্ষার ‘খ’ সেটের উত্তরসহ প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় ফেসবুকে। যার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
আর ৫ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরুর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে সকাল ৮টা ৪ মিনিটে ইংরেজি প্রথমপত্রের ‘ক’ সেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়। যার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৪৮ মিনিট আগে সকাল ৯টা ১২ মিনিটে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ‘খ’ সেটের গাঁদা প্রশ্নপত্রটি হোয়াটসঅ্যাপের একটি গ্রুপে পাওয়া গেছে। যা অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া যায়।