X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের হাইলাইটস

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৭ মার্চ ২০১৮, ১৬:৪০আপডেট : ০৭ মার্চ ২০১৮, ২০:৪০

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের হাইলাইটস

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মুক্তিকামী বাঙালির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভাষণে রচিত হয় স্বাধীনতার সোপান। মুক্তিযুদ্ধের পথ বেয়ে ৯ মাসের ভয়াবহ যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি অর্জন করে স্বাধীনতার স্বাদ। স্বাধীন বাংলার আকাশে পত পত করে ওড়ে লাল সবুজ পতাকা। সেই ঐতিহাসিক ভাষণ এখন স্থান নিয়েছে ইউনেস্কোর প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে। এই ঐতিহাসিক দিনটির স্মরণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ বুধবার (৭ মার্চ) আওয়ামী লীগ আয়োজন করেছিল বিশাল জনসভার। এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভাষণ দিয়েছেন তার হাইলাইটস:   

* এখন যেটি শিশুপার্ক সেখানে ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের মঞ্চ ছিল। এই ময়দানের তখন নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান। সেখান থেকে জাতির পিতা ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল সারাদেশের মানুষ।

* একাত্তর সালের যুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষ সেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আর একশ্রেণির মানুষ হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, মা-বোনকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল।

* দক্ষিণ এশিয়ার বুকে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে জাতির পিতার নেতৃত্বে।

* মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। দেশের মানুষকে যখন তিনি আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিচ্ছিলেন তখনই এলো চরম আঘাত।

 * দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতাবিরোধীরা।

* এই ভাষণ বাজানোর কোনও অধিকার ছিল না। যেখানেই বাজানো হতো সেখানে তারা বাধা দিতো। আমি স্যালুট করি আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীকে। শত নির্যাতনের মধ্যেও তারা এ ভাষণ বাজিয়েছিল।

* কিন্তু, ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না। শত চেষ্টার পরেও তারা এই ভাষণ মুছে ফেলতে পারেনি।

* গত আড়াই হাজার বছরে যত ভাষণ হয়েছে, গবেষণা করে তার মধ্যে ৪১টি ভাষণ বেছে নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে স্থান পেয়েছিল এই ভাষণ। ইউনেস্কো এই ৪১টি ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটিকে বেছে নিয়েছে। কারণ, এটি ছিল অলিখিত। কিন্তু দিকনির্দেশনামূলক।

* যে ভাষণের মধ্য দিয়ে অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়নের কথা একদিকে উঠে এসেছে, অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য কী কী করণীয় তা বঙ্গবন্ধু বলে দিয়েছিলেন।

* আইয়ুব খান তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন, যখন কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে বিচারের জন্য নিয়ে আসা হতো তখন তিনি এসে বসার সময় বলতেন ‘জয় বাংলাদেশ’। তোমরা আমার বিচার করে কী করবে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে। যদি আমাকে হত্যা করো, আমার লাশটা বাংলাদেশে পৌঁছে দিয়ে এসো।

* ১৯৯৬-২০০১ সাল ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। আমরা ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন সফল করার চেষ্টা করি।

* গ্যাস বেচতে চাইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আমরা ভোট বেশি পেয়েছিলাম। কিন্তু, আমাদের সিট বেশি পেতে দেওয়া হলো না।

* ক্ষমতায় এসে তারা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কায়দায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ দেশের মানুষের ওপর হামলা চালায়।

* জিয়াউর রহমান নাকি কিছুই রেখে যায়নি অথচ তাদের টাকা পাচার হতে থাকলো। তাদের টাকা বাজেয়াপ্ত হলো যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে, সিঙ্গাপুরের কোর্টে। সেই টাকা আমরা উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি।

* এরপর আমরা যখন ক্ষমতায় আসলাম তখন তারা জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন শুরু করলো। জীবনেও শুনি নাই মানুষ পুড়িয়ে আন্দোলন করতে হয়, তারা তাও করলো।

*  বাংলার মাটিকে মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অভিভাবক, শিক্ষক, মাদ্রাসার ইমামসহ অন্য ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

 * ২০ লক্ষ মায়ের কাছে মোবাইল ছিল না। আমরা মোবাইল কিনে তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।

* আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু করেছি। গ্রামে বসে অনলাইনে সবকিছু যাতে পায় সেজন্য পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় তথ্য বাতায়ন করে দিয়েছি।

* খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। মাছ উৎপাদনে আমরা চতুর্থ, চাল উৎপাদনে চতুর্থ স্থান পেয়েছি, ২৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ঠিক করে দিয়েছি। পদ্মা সেতু, ৪৯টা অন্যান্য বড় সেতু করে দিয়েছি। চা রফতানিতে পাঁচটি দেশের একটি বাংলাদেশ। সে সম্মান আমরা পেয়েছি।

* আগামী মাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উদ্বোধন করবো।

* আমরা বিশ্বসভায় মাথায় উঁচু করে চলবো, জাতির পিতা সে শিক্ষা আমাদের দিয়ে গেছেন।

* একটি আহ্বান, জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য অভিভাবকসহ দেশের সব মানুষ সতর্ক থাকবেন।

 *আমরা মানবতার জন্য কাজ করি। এজন্য ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি।

* আরেকটি আহ্বান, জিয়া, এরশাদের সময় দেশ তো এত উন্নত হয়নি। আপনাদের কাছে আমরা আহ্বান, যুদ্ধাপরাধী, খুনি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাই সতর্ক থাকবেন।

* যারা এতিমদের টাকা চুরি করেছে তারা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবার কাছে আহ্বান জানাই।

* আমরা যে উন্নয়ন করছি সেসব তথ্য যাতে সারাদেশের মানুষ জানতে পারে সে ব্যবস্থা করুন।

* তাঁতি, কামার, কুমার, হিজড়া, মৎস্যজীবী, প্রতিবন্ধী সবার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

* যারা বিদেশে যায়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করেছি, সেখান থেকে তারা ঋণ নিতে পারে, ভিটেমাটি বিক্রির প্রয়োজন হবে না।

* আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৪১ সালে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে আমরা গড়ে তুলবো।

 

 

 

/টিএন/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা