আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী ও এমপিসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল ও মহল গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) পৌনে ১০টার দিকে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা যান।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় স্পিকার বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন একজন নির্লোভ রাজনীতিবিদ। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো।’
স্পিকার মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোক জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তারা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়া পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মশিউর রহমান রাঙ্গা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী পৃথক শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ ছাড়া, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জাসদের পক্ষ থেকে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক জানানো হয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার গভীর শোক জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি এক কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী এবং নেতাকর্মী রেখে গেছেন।
সৈয়দ আশরাফ দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। চিকিৎসাজনিত কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাসস।
আরও পড়ুন...
সৈয়দ আশরাফুলের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের শোক
