বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেশনালের (বিইউপি) শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে তারা রাস্তায় নামেন। আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন।
এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ, শাহবাগ থেকে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ থেকে হাইকোর্ট মোড় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেককে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে কোনও বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
আট দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি–এ কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থী মায়েশা নূর বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি বলতে বাসচালকের ফাঁসি চেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘গতবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জাবালে নূরের রোড পারমিট বাতিল করা হয়েছিল বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু জাবালে নূর এখনও রাস্তায় চলছে। আমরা জাবালে নূর ও সুপ্রভাত বাস রাস্তায় দেখতে চাই না।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এসময় তারা- আবরার হত্যার বিচার চাই, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, নিরাপদ সড়ক চাই, আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে, পাঞ্জেরি আইন বাস্তবায়ন আর কত দেরি? রাজিব-দিয়া-আবরার আর কত দরকার? রাস্তায় রক্ত কেন? বিবেক সম্পন্ন প্রশাসন চাই, নেক্সট কি আমার লাশ? ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
ঢাবির ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মনির আলম মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে ‘আমরা দেখেছি গত বছর রাজিব-দিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর আবরার সেই একই দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন। আমাদের দেশের সড়কের নিরাপত্তা নেই। একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। কোনও ঘটনার বিচার না হওয়া এবং চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এসব ঘটছে। আমরা আবরারের হত্যার বিচার চাই।’
শিক্ষার্থী সেলিনা জাহান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা দেখি যখন কোনও আন্দোলন হয় তখন সরকার কিছু আইন-কানুন করে। কিন্তু এসব আইনের কোনও বাস্তবায়ন দেখি না। যার কারণে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে কেউ না কেউ নিহত হচ্ছে। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, একই সঙ্গে আইনের সঠিক বাস্তবায়ন চাই।’
ছবি: নাসিরুল ইসলাম